নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে বিশ্বকাপ জমিয়ে দিল ইকুয়েডর। ম্যাচের শুরু থেকেই চাপ বাড়াচ্ছিল নেদারল্যান্ডস। কিন্তু প্রথম ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল ইকুয়েডরও।
ম্যাচের প্রথম গোলটি আসে ৬ মিনিটে। ক্লাসেনের পাস থেকে গোল করেন গ্যাকপো। অন্যদিকে ম্যাচের ২৪ মিনিটে একটি পজিটিভ আক্রমণ তুলে আনে ইকুয়েডরও। গোল করার চেষ্টা করেছিলেন ক্যাইসেডো কিন্তু ডাচ ডিফেন্সের তৎপরতায় তা প্রতিহত হয়।
৩২ মিনিটের মাথায় ইকুয়েডরের ফরোয়ার্ড লাইন আরও একবার জ্বলে ওঠে। ভ্যালেন্সিয়ার জোরালো শট, ডানদিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন ডাচ গোলরক্ষক অ্যান্দ্রেস নোপার্ট। অন্যদিকে এই ম্যাচে দলকে তাতাতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ডাচ তারকা ফুটবলার ওয়েসলি স্নেইডার।
এইধরণের ম্যাচে মাঝমাঠের দখল যার, ম্যাচও তার। নেদারল্যান্ডস সেই মাপকাঠিতে অনেকটাই এগিয়ে ছিল কিন্তু ইকুয়েডরও চেষ্টা করেছিল এবং কিছুটা মোমেন্টাম ধরেও ফেলেছিল। কিন্তু ডাচ দল ম্যাচের গতি কিছুটা স্লথ করে দেয় প্রথমার্ধের শেষ কোয়ার্টারে। তবে প্রথমার্ধের একেবারে শেষমুহূর্তে পার্ভিস এস্টুপিনানের গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। প্রথমার্ধের শেষে বলপজিশনেও ৫১%-তে পৌঁছে যায় ইকুয়েডর। যদিও একগোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে অরেঞ্জ ব্রিগেড।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইকুয়েডর ম্যাজিক। ম্যাচের ৪৯ মিনিটে সেই এস্টুপিনান, ফাঁকা জায়গা পেয়েই বল বাড়ালেন ভ্যালেন্সিয়ার দিকে এবং তিনি জালে ঠেলতে ভুল করেননি। এই বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় গোলটি করে দলকে সমতায় ফেরান ইকুয়েডরের ফরোয়ার্ড লাইনের অন্যতম ভরসা ভ্যালেন্সিয়া। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে ডাচ স্ট্রাইকার গ্যাকপোকে একেবারে বোতলবন্দী করে আক্রমণ রুখলেন ইকুয়েডর ডিফেন্ডার পিয়েরো হিনক্যাপি। আসলে গোল পাওয়ার পরেই আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যায় গোটা ইকুয়েডর দলের। মুহুর্মুহু আক্রমণে ঝড় তুলতে শুরু করেন ভ্যালেন্সিয়া। ৫৯ মিনিটে তাঁর শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। আবারও ৬৪ মিনিটে হিনক্যাপির লং ক্লিয়ারেন্স পেয়েই এগোতে থাকেন তিনি। কিন্তু শেষপর্যন্ত গোল করতে ব্যার্থ হন তিনি।
ম্যাচের ৭০ মিনিটের মাথায় প্রথম পরিবর্তন করেন নেদারল্যান্ডস কোচ লুইস ভ্যান গাল। ক্লাসেনকে তুলে মাঠে নামান এস বারঘুইসকে। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে গ্যাকপোর শট একটুর জন্য বাইরে যায়। তবে ম্যাচের ৭৫ মিনিটে ইকুয়েডরের কোচ গুস্তাভো আলভারো এম এস্ত্রাদাকে তুলে নিয়ে নামান উইঙ্গার সারমেইন্তোকে। শেষ কোয়ার্টারে দুটি পরিবর্তন একসাথে করেন ডাচ কোচ। গ্যাকপোকে তুলে নামান ফ্রেশ লেগ ওয়েগহরস্টকে এবং কুপমেইনার্সের বদলে মাঠে নামেন ডি রুন।
{ad }
কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি বরং ইকুয়েডরের হয়ে পরিবর্ত নামা উইঙ্গার সারমেইন্তো বারবার আক্রমণ তুলে আনেন নেদারল্যান্ডসের টপ বক্সে। এদিন ৫৪% বল পজিশন রেখেও জিততে পারেনি নেদারল্যান্ডস।
তবে ইকুয়েডর দলের আরেকজনের কথা বলতেই হবে। তিনি হলেন ফেলিক্স টোরেস। অরেঞ্জবাহিনীর অনেক আক্রমণ রুখে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ডিফেন্ডারটির অবদান অনেকটাই।
Comments :0