‘বিশ্বগুরু’, ‘বিশ্বশক্তি’ বলে প্রচার চলছে। দেশের কর্পোরেটকুলের মুনাফা ফুলেও উঠছে। কিন্ত সাধারণ নাগরিকরা স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে হিমসিম খাচ্ছেন। বাস্তবের এই অভিজ্ঞতার কিছুটা সংসদে তুললেন বিরোধীরা।
লোকসভায় সরকারকে বিরোধীরা বলেছেন মোট জাতীয় উৎপাদনের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যে বরাদ্দ এমনিতেই কম। কমিয়ে ধরা হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা। এমনকি সেই লক্ষ্যেও পৌঁছাচ্ছে না কেন্দ্রের বাজেট বরাদ্দ।
কংগ্রেস সাংসদ তারিক আনোয়ার বলেছেন, ২০১৭’র জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে স্বাস্থ্য এবং আনুষাঙ্গিক ক্ষেত্রে জিডিপি’র ২.৫ শতাংশ খরচের লক্ষ্য মাত্রা ঠিক হয়। সাত বছর পার হয়েছে। কিন্তু জিডিপি’র অংশ হিসেবে কেন্দ্রের খরচ কমেছে।
স্বাস্থ্য পানীয় জল এবং নিকাশির জন্য জিডিপি’র ০.৮ শতাংশ খরচ করেছে কেন্দ্র। রাজ্যগুলির স্বাস্থ্যখাতে খরচ ছিল জিডিপি’র ১.৫৮ শতাংশ। কেন্দ্র এবং রাজ্য মিলিয়ে খরচ পৌঁছেছে ২.১৩ শতাংশে। এই তথ্য কিছুদিন আগেই বেরিয়ে পড়েছে।
সমালোচনার মুখে পড়েছে, রাজ্য রাজ্যে ‘এইমস’ তৈরির প্রকল্পও। দিল্লির অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল সায়েন্সেস বা এইমস-র মানের হাসপাতাল সব রাজ্যে তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয় পূর্বতন ইউপিএ-১ সরকারের সময়েই। বিজেপি জোট সরকারের সময়ে বিভিন্ন রাজ্যে ‘এইমস’ বলে হাসপাতালের উদ্বোধন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি তা নিয়ে প্রচারও চালাচ্ছে। কিন্তু রাজ্যস্তরে এই হাসপাতালগুলি সব বিভাগ চালু করে উঠতে পারছে না। পরিকাঠামো দিল্লির ‘এইমস’-র ধারে কাছেও না।
বিজেপি’র সঞ্জয় আগরওয়ালের যুক্তি, নরেন্দ্র মোদী সরকারের মেয়াদেই মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ৩৮৭ থেকে বেড়ে ৭০০ হয়েছে। বেড়েছে মেডিক্যাল শিক্ষার আসনও।
বাস্তবে মোদীর সময়ে বেড়েছে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ। নতুন মেডিক্যাল কলেজ গত দশ বছরে যা হয়েছে সেখানে বেসরকারি ক্ষেত্রই বেশি। এই কলেজগুলিতে আবার বিপুল অর্থ ডোনেশন দিয়ে পড়ার রাস্তাও খোলা থাকছে। জয়সোয়াল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারগুলিতে স্বাস্থ্যে কম বরাদ্দের অভিযোগ তুলেছেন।
তার পালটা সমাজবাদী পার্টির লালজী ভার্মা বলেছেন,এই দশ বছরে যেভাবে জনতাকে পকেট থেকে বিপুল টাকা খরচ করতে হচ্ছে, যেভাবে স্বাস্থ্যবিমার খরচ বাড়ছে, ওষুধের দাম লাফিয়ে বেড়েছে, চিকিৎসার করাতে নাজেহাল হচ্ছে জনতা। সরকার এই বাস্তবতা বিবেচনায় রাখছে না।
ডিএমকে’র রানি শ্রীকুমার ‘নিট’ জালিয়াতির জন্য সমালোচনা করেছেন সরকারের।
HEALTH LOK SABHA
স্বাস্থ্যে নামমাত্র খরচ কেন্দ্রের, সরব বিরোধীরা
×
Comments :0