কানওয়ার যাত্রীদের জানাতে হবে দোকান মালিকের নাম। জানাতে হবে কর্মচারীদের নামও। উত্তর প্রদেশ সরকারের এই নির্দেশিকা ঘিরে তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছে বিভিন্ন অংশ।
এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে মুজফ্ফরনগরের সব খাবারের দোকানে। বলা হয়েছে কানোয়ার যাত্রীদের সহযোগিতার জন্য স্বেচ্ছায় সকলে নিজেদের নাম এবং কর্মচারীদের নাম জানান।
বিভিন্ন অংশই বলেছে, মুজফ্ফরনগরে এই নির্দেশিকার আসল উদ্দেশ্য মুসলিমদের দোকান চিহ্নিত করা। তাদের বয়কটের মুখে ঠেলে দেওয়া। নির্দেশিকা দিয়ে ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টার নিন্দা করেছে সিপিআই(এম)।
রাজ্যের বিরোধী সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ সিং তীব্র নিন্দায় বলেছেন, ‘‘কারও নাম গুড্ডু বা মুন্না বা ছোটু। মালিকদের এই নাম দেখে কী বোঝা যায়? সুপ্রিম কোর্টের উচিত স্বত:প্রণোদিত মামলা দায়ের করা। আসল উদ্দেশ্য খুঁজে বের করা জরুরি।
মুজফ্ফরনগরের পুলিশ এসপি অভিষেক সিংয়ের ব্যাখ্যা, এই জেলায় শ্রবাণ মাসে জল ঢালতে যাওয়া কানোয়ার যাত্রীদের ২৪০ কিলোমিটার পথ পড়ে। কোনও বিভাজনের জন্য নয়, তাদের সহযোগিতার জন্য এই নির্দেশিকা।
এমন ব্যাখ্যায় বরং ক্ষোভ আরও বেড়েছে। সহযোগিতার জন্য খাবার বা জল দেওয়া যেতে পারে। দোকান মালিকের নাম বা কর্মচভারীদের নাম জানিয়ে কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন বড় অংশে।
গীতিকার জাভেদ আখতার এই নির্দেশিকার কড়া নিন্দায় বলেছেন, ‘‘হিটলারের জার্মানিতে এভাবেই ইহুদিদের দোকান বা তাদের ঘর চিহ্নিত করা হতো। মুজফ্ফরনগরে যাত্রাপথে গাড়ির মালিকদেরও নাম পরিচয় জানাতে বলা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য কী?’’
সিপিআই(এম) বলেছে, ‘‘ইতিহাস আমাদের ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে লড়তে শিখিয়েছে। উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের নির্লজ্জ পদক্ষেপ নিন্দনীয়। পুলিশকে ব্যবহার করে ধর্মীয় বিভাজন ছড়ানো হচ্ছে।’’
yogi order protest
যাত্রীদের জানাতে হবে দোকান মালিকের নাম, যোগীর পুলিশের নির্দেশিকায় নিন্দার ঝড়
×
Comments :0