যোগ্যদের চাকরি সম্মানের সাথে ফিরিয়ে দিতে হবে। দুর্নীতি করে যারা চাকরি পেয়েছে এবং যারা চাকরি দিয়েছে তাদের শাস্তি দিতে হবে। এই দাবিকে সমানে রেখে শনিবার করুণাময়ীতে এসএসসি দপ্তর অভিযানের ডাক দিল বাম ছাত্র যুব সংগঠন গুলো এবং এবিটিএ।
বাম ছাত্র যুব এবং শিক্ষক সংগঠনের এসএসসি ভবনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। মীনাক্ষী মুখার্জি, হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্য, সপ্তর্ষি দেব, দেবাঞ্জন দে‘রা সামনে থেকে মিছিলের নেতৃত্ব দেন।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দাবদাহকে উপেক্ষা করেই যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা এবং যোগ্য চাকরিজীবীরা সেই মিছিলে যোগ দেন। করুণাময়ী থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কিছুক্ষন পরপরই পুলিশ মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে। পুলিশি বাধা পেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রথমে কথা কাটাকাটি পরে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এই ঘটনায় নেতৃত্ব সহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মিছিল আটকাতে যোগ্য চাকরিজীবীদের এবং বাম ছাত্র যুব শিক্ষকদের ওপর বেপরোয়া লাঠি চালায় পুলিশ। পায়ে আঘাত পেয়েছেন মীনাক্ষী মুখার্জি। আন্দোলনকারিদের জোর করে গ্রেপ্তার করার সময় প্রিজেন ভ্যানের ভিতর তাদের মারধর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারিরা।
শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেছে হাইকোর্ট।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রশিদের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছেন সোমবার। যাদের চাকরি বাতিল করা হলো তাদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী একমাসের মধ্যে সেই টাকা তাদের ১২ শতাংশ সুদ সমেত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালতের এই রায়ের পর শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে যোগ্যতার নিরিখে চাকরি পেয়েছেন তাদের হয়ে তারা আদালতের আইনি লড়াই লড়বেন। বৃহস্পতিবার এবিটিএ’র এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বহু যোগ্যতার সাথে চাকরি পাওয়া এসএসসি ২০১৬ সালে প্যানেলের শিক্ষক শিক্ষিকারা এবিটিএ ভবনে গিয়ে আইনি ফর্মপুরন করছেন।
এবিটিএ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের চাকরি কোন ভাবে কেড়ে নেওয়া যাবে না।
রাজ্য সরকার এবং তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের দুর্নীতির কারণে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক তাদের চাকরি হারাতে বসেছেন। মুখ্যমন্ত্রী এই পরিস্থিতিতে দাবি করছেন তিনি জানেন না কোন দপ্তর কি ভাবে নিয়োগ করেছে।
উল্লেখ্য এসএসসিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভার অনুমোদনে সুপার নিউমেরিক্যাল পোস্ট (অতিরিক্ত পদ) তৈরি করা হয়। সোমবার হাইকোর্টের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যাঁরা এই পদ তৈরি করেছে তাদের প্রয়োজনে হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা।
Comments :0