MANIPUR HEIST

ডাকাতিতে ব্যবহৃত যুদ্ধের অস্ত্র, মণিপুরে লুট ১৮ কোটি

জাতীয়

MANIPUR VIOLENCE STUDENT DEATH BENGALI NEWS INDIAN POLITICS MANIPUR BURNING MANIPUR BANK ROBBERY

মণিপুরে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের একটি ব্রাঞ্চ থেকে ১৮ কোটিরও বেশি টাকা লুটের ঘটনা সামনে এসেছে। এই ঘটনার ফলে মণিপুরের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে ফের একবার বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল। 

সংবাদসংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে মণিপুরের উখরুল শহরের একটি পাঞ্জাব ন্যাশনাল  ব্যাঙ্কের শাখায় এই ঘটনা ঘটেছে। উখরুলের সঙ্গে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল শহরের দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার। 

প্রত্যক্ষ্যদর্শী এবং পুলিশকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানাচ্ছে, ব্যাঙ্ক বন্ধ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ‘ক্যামোফ্লেজ’ পোষাক করে একদল ডাকাত ব্যাঙ্কে হানা দেয়। তাঁদের হাতে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। যুদ্ধে সাধারণত এই ধরণের অস্ত্র ব্যবহার হয়ে থাকে। তাঁরা ব্যাঙ্কের কর্মচারী এবং নিরাপত্তারক্ষীদের বাথরুমে আটকে রাখে। একজন পদস্থ আধিকারিককে বন্দুক দেখিয়ে বাধ্য করে ডাকাতদলকে ব্যাঙ্কের ভল্টে নিয়ে যেতে। তারপর ভল্টে থাকা ১৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা লুট করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতিরা।

পুলিশ জানাচ্ছে, ব্যাঙ্কের ওই শাখাটি ছিল কারেন্সি চেস্ট। কারেন্সি চেস্টে বিপুল অর্থ মজুদ রাখে ব্যাঙ্কগুলি। কারেন্সি চেস্ট থেকেই এটিএমে টাকা পাঠানো হয়। দুষ্কৃতিদের কাছে এই সংক্রান্ত বিষদ তথ্য ছিল। তাই তাঁরা সাধারণ শাখার বদলে এই শাখাকে বেছে নিয়েছে। 

ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ব্যাঙ্ক ডাকাতদের ব্যবহৃত অস্ত্র এবং কাজের ধরণ দেখে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে, যে কোনও উগ্রপন্থী সংগঠন এই টাকা লুটের সঙ্গে জড়িত। প্রসঙ্গত, ৩ মে থেকে মণিপুরে শুরু হওয়া গোষ্ঠী সংঘর্ষকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি সে রাজ্যের বিজেপি সরকার। অশান্তিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তৎপরতা বাড়িয়েছে একাধিক নিষিদ্ধ উগ্রপন্থী সংগঠন। রাজ্য পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে কয়েকশো অত্যাধুনিক বন্দুক লুট হয়েছে। সেই অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়েনি। রাজ্যে মোতায়েন হয়েছে বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাঁদের উপরেও নিয়মিত হামলা হওয়ার খবর আসছে মণিপুর থেকে। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করাচ্ছেন, মণিপুরে অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানে যাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নভেম্বরে মণিপুরের পার্শ্ববর্তী মিজোরামে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। মণিপুর ছোঁয়াচ এড়াতে মিজোরামেও প্রচারে দেখা মেলেনি মোদীর। ঘটনাচক্রে মিজোরামে এনডিএ শরিক মিজো ন্যশনাল ফ্রন্ট সরকার চালিয়েছে গত পাঁচ বছর। তাঁরাও ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, বিজেপির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখা হবেনা। 

Comments :0

Login to leave a comment