VICE CHANCELLORS

দশ উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের,
’একতরফা’: দাবি শিক্ষা মন্ত্রীর

রাজ্য কলকাতা

vice chancellors jadavpur university kalyani university west bengal universities state government governor clash bengali news

শুরুটা হয়েছিল বসন্ত পঞ্চমীতে বাংলায় হাতেখড়ি দিয়ে। রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে বাংলার পাঠ  দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই, জুনের প্রবল গরমেও সেই সম্পর্কে শৈত্যের প্রভাব। 

রাজ্যের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ খালি রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজভবনে সেই সংক্রান্ত একটি বৈঠক করেন রাজ্যপাল । সেখানে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের ২০২২ সালের একটি রায়কে হাতিয়ার করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় সহ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নাম ঘোষণা করেন।

এই ঘোষণার কিছু পরে একটি টুইট করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। টুইটে তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে একতরফা ভাবে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। ব্রাত্য বসুর দাবি, উপাচার্য নিয়োগের গোটা পদ্ধতিটাই বেআইনি। তিনি জানিয়েছেন, এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর। একইসঙ্গে তিনি ‘বেআইনি’ ভাবে নবনিযুক্ত উপাচার্যদের ‘অনুরোধ’ করেন এই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করতে। 

রাজ্যপাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে বসিয়েছেন সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্তকে। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনি। ফলতঃ রাজ্যের ‘অনুরোধ’ উপাচার্যরা মানবেন কিনা, উঠছে সেই প্রশ্নও। 

অপরদিকে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে অপর একটি জটিলতা সামনে এসেছে। বৃহস্পতিবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে রাজ্যপাল কলা ও বাণিজ্য অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক অমলেন্দু ভুঁইঞাকে নিযুক্ত করেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একটি অংশ জানাচ্ছেন, যেই রায়কে হাতিয়ার করে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল, সেখানেই স্পষ্ট বলা হয়েছে, প্রফেসর পদে ১০ বছর অতিক্রান্ত করা কোনও অধ্যাপককেই উপাচার্য পদে নিয়োগ করতে পারবেন রাজ্যপাল। অপরদিকে অধ্যাপক অমলেন্দূ ভুঁইঞা মাত্র ৮ বছর প্রফেসর পদে রয়েছেন। ফলে যেই রায়কে হাতিয়ার করে রাজ্যকে এড়িয়েছেন রাজ্যপাল, সেই রায়কেই অমান্য করেই উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ উঠছে সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। 

এ প্রসঙ্গে ওয়েবকুটা’র সাধারণ সম্পাদক কেশব ভট্টাচার্য বলেন, উপচার্য নিয়োগের সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে, আইন রয়েছে। সেটা রাজ্য এবং রাজ্যপাল কারোরই অজানা থাকার কথা নয়। কিন্তু তারপরেও এই জাতীয় সংঘাত ইচ্ছাকৃত ভাবেই তৈরি করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বাধীকার ভঙ্গ হচ্ছে, তেমনই মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পঠন পাঠনের পরিবেশ। 

Comments :0

Login to leave a comment