হিরো ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে লেবাননকে ২-০ গোলে হারাল ভারত। ওডিশার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুইদল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সেই সুনীল ছেত্রী। ৬৬ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ছাংতে।
প্রথমার্ধের খেলার বিচারে বল দখলের হারে এগিয়ে ছিল লেবানন। যদিও ভারতীয় ডিপ ডিফেন্স এবং ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডের তৎপরতায় বিক্ষপ্ত ভাবে ছাড়া লেবানন কোনও গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারে নি। ৪২ মিনিটের মাথায় নিজেদের বাম প্রান্ত থেকে চলতি বলে জোরালো শট নেন লেবাননের সাদ। কিন্তু সেই শট ফিস্ট করে দলের পতন রোধ করেন ভারতের গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধু।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ফের চাপ বাড়ায় ভারত। ৪৬ মিনিটে নিজেদের ডানপ্রান্ত থেকে দুরন্ত ভাবে কাট করে ঢোকেন নিখিল পূজারী । লেবাননের ডিফেন্ডারদের পায়ের ছন্দে কাটিয়ে তিনি ওয়ান-টু-ওয়ান খেলেন লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের সঙ্গে। ছাংতে পাস বাড়ান সুনীলকে। গোল করতে ভুল করেননি ভারতের অধিনায়ক।
৬৬ মিনিটের মাথায় ফের গোল ভারতের। সুনীল পাস বাড়ান দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামা নওরেম মহেশকে। মহেশ গোল লক্ষ করে শট নেন। সেই শট কোনওক্রমে বাঁচান লেবাননের গোলরক্ষক সাবেহ্। ফিরতি বল চলে আসে ছাংতের কাছে। ডিফেন্ডারদের জটলা ভেদ করে বলকে জালে জড়িয়ে দেন তিনি।
গোটা দ্বিতীয়ার্ধ জুড়েই আধিপত্য বজায় রেখে খেলেন ভারতীয়রা। এদিন ম্যাচে ভারতের বল দখলের হার ছিল ৫৬ শতাংশ। লেবাননের গোল লক্ষ্য করে মোট ১৪টি শট নেন সুনীলরা, তারমধ্যে গোলে থেকেছে ৪টি। এদিন দ্বিতীয়ার্ধে ৪ মিনিট অতিরিক্ত সময় যোগ করেন রেফারি। অতিরিক্ত সময়ের ১ মিনিটের মাথায় রহিম আলিকে থ্রু পাস বাড়ান সুনীল। কিন্তু সেই সুযোগ মিস করেন রহিম। এর পরের মিনিটে মার্কারকে এড়িয়ে হেড নেন মহেশ। শরীর ছুড়ে দিয়ে সেই হেডটি বাঁচান লেবাননের গোলরক্ষক সাবেহ্।
প্রসঙ্গত, এশিয়ান কাপের আগে প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে একগুচ্ছ টুর্নামেন্ট খেলতে চলেছে ভারত। তারমধ্যে একটি ছিল এই হিরো ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া লেবানন ফিফা তালিকায় ভারতের থেকে ২ ধাপ এগিয়ে রয়েছে। সেই দলকে ২-০ ব্যবধানে হারানো নিঃসন্দেহে কৃতিত্বের ব্যাপার।
বর্তমানে লেবাননের ফিফা র্যাঙ্ক ৯৯, আর ভারত রয়েছে ১০১ তম স্থানে। গোটা ম্যাচ জুড়ে অনবদ্য ফুটবল খেলার জন্য প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন ছাংতে।
Comments :0