মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চান কেন বাড়তি পদের অনুমোদন দেওয়া হলো। উত্তরে রাজ্যের পক্ষ থেকে যুক্তি দেখানো হয় যে রাজ্য সরকার ওই পদে কোন নিয়োগ করেনি। এসএসসি ওই পদে নিয়োগ করেছে।
উল্লেখ্য এসএসসিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভার অনুমোদনে সুপার নিউমেরিক্যাল পোস্ট (অতিরিক্ত পদ) তৈরি করা হয়। ২২ এপ্রিল হাইকোর্টের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যাঁরা এই পদ তৈরি করেছে তাদের প্রয়োজনে হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা।
গত সোমবার মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের ওঠে। প্রধান বিচারপতি এদিন বলেন, ‘‘ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। কোন প্রতিলিপি নেই। প্যানেলে যাদের নাম নেই তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ একটি জালিয়াতি।’’ হাইকোর্টের রায়কে বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট জানায় সুপারনিউমেরিকাল পদ নিয়ে মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে এখনই তদন্ত নয়।
২২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রশিদের বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি। এদিন সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বুঝিয়ে দিলেন কী ভাবে এরাজ্য শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে।
২৫ হাজার চাকরি বাতিলের মধ্যে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ, যদি সম্ভব হয় , তা বাছাই করার নির্দেশ এসএসসিকে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
Comments :0