Medical Admission case

মেডিক্যালে ভর্তি সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে

জাতীয় রাজ্য

হাই কোর্টের থেকে মেডিক্যালে ভর্তি সংক্রান্ত মামলা নিজেদের গাতে নিলো সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের বিরোধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শুনানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ আদালত। শনিবার ছুটির দিনে শুনানিতে বসে প্রধানবিচারপতির ডিভিসন বেঞ্চ। 

শনিবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টে সংশ্লিষ্ট সব মামলায় স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেয়। এদিন রাজ্যের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন করা হয় যাতে সিঙ্গেল বেঞ্চ অর্থাৎ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে মামলা সরিয়ে নেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য সেই আবেদন মেনে নেয়নি। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিসন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, এই মামলা সংক্রান্ত সব শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।

আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। হলফনামা জমা করার পরই শুরু হবে শুনানি।

দুর্গাপুরের এক ছাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি গাঙ্গুলি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চের রায়ে ত্রুটি দেখিয়ে বিচারপতি গাঙ্গুলি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন, সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যেতে বলেন। বিচারপতি সৌমেন সেনের বিপক্ষে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ জানান বিচারপতি গাঙ্গুলি।

প্রাথমিক অভিযোগ সিবিআই দায়ের করেছে এর মধ্যেই। রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে বছরে ২৬০০-২৮০০ ছাত্রছাত্রী সংরক্ষিত আসনে ভর্তি হন। দশ বছরে এই সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে। নিয়ম অনুযায়ী তিনবার জাতভিত্তিক শংসাপত্র দাখিল করতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। একবার আবেদন, পরেরবার কাউন্সেলিং এবং শেষে ভর্তির সময়ে। তপশিলি জাতি, আদিবাসী, অন্য অনগ্রসর অংশ (ওবিসি’, আর্থিক বিচারে দুর্বল অংশের মতো মাপকাঠিতে সংরক্ষণ চালু হয় কেন্দ্রীয় স্তরে। কেননা মেডিক্যালে ভর্তির পরীক্ষা নিটকেন্দ্রীয়ভাবে নেওয়া হয় সারা দেশে।  

অভিযোগ, সংরক্ষিত আসনে ভর্তির জন্য ভুয়ো শংসাপত্র নিয়ে কম নম্বর সত্ত্বেও একাংশ রাজ্যে ডাক্তারি পাঠরত। সংরক্ষণের প্রকৃত দাবিদাররা সুযোগ পাননি। ভুয়ো শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। 

 

Comments :0

Login to leave a comment