তিনি আরও বলেন, ‘‘নীতিশের সাথে রাজ্যপালের বৈঠক বা তার ইস্তফা সম্পর্কে কোন তথ্য নেই।’’
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন যে, খাড়গের পক্ষ থেকে একাধিকবার নীতিশ কুমারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তার দিক থেকে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
রবিবার সকাল ১০টায় দলের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন নীতিশ কুমার সেই বৈঠক থেকে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে অনেকে মনে করছেন।
অন্যদিকে শনিবার নিজের বাসভবনে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন আরজেডি নেতা তথা বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর তেজস্বী যাদব।
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজন ১২২জন বিধায়কের সমর্থন। বর্তমানে আরজেডির ৭৯ জন বিধায়ক। কংগ্রেস ১৯, সিপিআইএমএল লিবারেশনের ১২, সিপিএমের ২, সিপিআইয়ের ২ এবং ১ নির্দল বিধায়ক মহাজোটে।
অন্যদিকে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৮। জেডিইউ’র ৪৫। এই দুজনের সংখ্যা এক করলে দাঁড়াচ্ছে ১২৩।
এখন নীতিশ বিজেপিতে যায় নাকি শেষ পর্যন্ত ‘মহাজোট’-এ থেকে যান সেই দিকে নজর রয়েছে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলের।
২৮ জানুয়ারি, রবিবার, নির্ধারিত সব কর্মসূচি বাতিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সেদিনই বড় কোনও ঘোষণা হতে পারে বলেও অনুমান রয়েছে।
একাংশের বক্তব্য, ফের ডিগবাজির কৌশলে আপত্তি রয়েছে নীতীশের দলেও। দলের সভাপতির পদ থেকে সদ্য লালন সিংকে সরিয়েছেন নীতীশ। লালন বিজেপি’র হাত ধরতে নারাজ।
বিরোধী দলগুলি জাতীয় স্তরে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চে সমবেত হওয়ার পর থেকে চোখে পড়ার মতো প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে চলেছে বিজেপি। প্রায় মৃত নিজেদের এনডিএ জোটকে জীবিত দেখাতে বৈঠকও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা। জোট এবং বিরোধী দল ভাঙানোর তৎপরতাও চোখে পড়েছে।
Comments :0