উল্লেখ্য তৃণমূল এবং আদানি গোষ্ঠীর সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। রাজ্যের একাধিক ক্ষেত্রে তৃণমূল সরকারের সময় বিনিয়োগ করেছেন আদানি গোষ্ঠী। গৌতম আদানি, তার ভাইপো সাগর আদানির বিরুদ্ধে মার্কিন প্রসিকিউটরদের দাবি, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে গৌতম আদানি ও তার সহযোগীরা ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেন। এর উদ্দেশ্য ছিল রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলির সঙ্গে পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (পিপিই) নিশ্চিত করা। যে ক’টি রাজ্যের আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে নিউইয়র্কের আদালতে মামলা হয়েছে, তার মধ্যে আপাতত পশ্চিমবঙ্গের নাম নেই। কিন্তু আদানির বিদ্যুতের জন্যই লাঠি চলেছিল মুর্শিদাবাদে।
তাজপুরেও আদানিকে নিয়ে এসেছিল মমতা ব্যানার্জির সরকার। ওই প্রকল্পের জন্য আদানি গোষ্ঠীকে ‘লেটার অব ইনটেন্ট’, অর্থাৎ আগ্রহপত্র দিয়েছিল। বাকি ছিল চূড়ান্ত চুক্তি। কিন্তু তার জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র আদায় করে আনার দায়িত্ব নাকি আদানিদের, রাজ্য প্রশাসনের এমনই দাবি। কিন্তু সেই জট এখনও কাটেনি।
ইলেক্টোরাল বন্ডে আদানি গোষ্টীর থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও ঢুকেছে শাসক দলের অ্যাকাউন্টে। যেই আদানি তৃণমূলকে টাকা দিয়েছে সেই আদানি গোষ্ঠীর দূর্নীতির বিরুদ্ধে শাসক দলের সাংসদরা লোকসভায় আওয়াজ তুলবে এটা ভাবা ভুল।
তৃণমূল যে লোকসভায় বিজেপির ‘বন্ধুত্বপূর্ণ বিরোধী’ হবে তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন অভিষেক নিজেই। তিনি বলেছিলেন, শীতকালীন অধিবেশনের তৃণমূল সাংসদরা বাংলার বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে সরব হবেন। কিন্তু কতো টাকা এসেছে আর কতো খরচ হয়েছে তার কোন শ্বেরপত্র এখনও প্রকাশ করতে পারেনি কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকারই।
কাকলি ঘোষ দস্তিদার আর এক তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছিলেন যে, তারা চায় যাতে সংসদের কাজ ঠিক ভাবে হোক। কোন একটা নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে সংসদের কাজে বাধা তৈরি করার উদ্দেশ্য তৃণমূলের নয়। শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম থেকেই আদানি নিয়ে আলোচনা চেয়ে বার বার সরব হয়েছেন বিরোধীরা তৃণমূল বাদে। যার জেরে উত্তাল হয়েছে সংসদ।
Comments :0