Sandakphu

বেড়িয়ে ঘুরে: মেঘে ঢাকা ‘তাহারা’ পর্ব ২

বিশেষ বিভাগ

সান্দাকফু থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা

* গতকালের পর*

সান্দাকফু

টুমলিং-এ এক রাত থাকার পরে আবার শুরু হল পথযাত্রা সান্দা‌কফুর (SANDAKPHU) উদ্দেশ্যে। মাঝে গাইরিবাসায় কিছুক্ষণ চা পানের বিরতি সেরে সিঙ্গালীলা জাতীয় উদ্যানে ঢোকার পালা।  

সিঙ্গালীলাল জাতীয় উদ্যান

এখানে ঢুকলেই প্রথম চেক পোস্টে। সেখানে মানেভঞ্জনে কাটা যাবতীয় টিকিট যাচাইয়ের পর শুরু হল সান্দাকফুর উদ্দেশ্যে যাত্রা। একদিকে অজানা পাহাড়ি গাছের সারি, আরেকদিকে নিচু খাদমধ্যিখানের উঁচুনিচু রাস্তা ধরে অবিরাম ছুটে চলা সান্দাকফুর দিকে। যত এগচ্ছি তত গহীন অরণ্য। রাস্তার একদিকে শাল বন আরেকদিকে খাদ। শাল বনের নিস্তব্ধ বিচরণ ডেকে আনে এক নৈর্ব্যক্তিক শূন্যতা। অনতিদূরেই ডানদিকের দিগন্ত ঘেঁষে ইতিউতি উঁকি দিয়ে যেন সঙ্গ নিয়েছেন মিস্টার কাঞ্চনজঙ্ঘা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলার পর মধ্যাহ্নে বিকেভঞ্জনে একটি ছোট হোটেলে দুপুরের খাওয়া কোনোক্রমে শেষ করেই আবার দৌড়। পথে কালিপোখরি লেকে কিছুক্ষণ দাঁড়ানো। পুরাণের কহিনী, এই ছোট্ট জলাশয় সৃষ্টি হয়েছিল মহাদেবের পায়ের চাপে।  

কালিপোখরি লেক

বিকেল প্রায় ৫টা নাগাদ সান্দাকফুর নির্ধারিত হোটেলে পৌঁছানো।

 

গাড়ি থেকে নেমেই হাড়ে হিম ধরে গেল। তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি। 

রুমের ভেতর দিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১১ হাজার ৯৩০ ফুট উচ্চতায় সান্দাকফু পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। 

সান্দাকফুর হোটেল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা

 রাত্রিযাপনের স্থানটির নাম শেরপা চ্যালেট (SHERPA CHALET)। 

শেরপা চ্যালেট

কলকাতা থেকেই বুকিং করে আসতে হয়। এখানে একেকটি রুমের ভাড়া একেক রকম। নির্ভর করে রুম থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাওয়া না পাওয়ার ওপর। তবে মোটামুটিভাবে গড়ে ২১০০-২৫০০ টাকা মাথা পিছু প্যাকেজ ধরে নিতে পারেন। ‘শেরপা চ্যালেট’এর পাশেই আছে ‘সানরাইজ হোটেল’ (SUNRISE HOTEL)। সেটির মাথা পিছু প্যাকেজ প্রায় ৬০০০ টাকা। পরিষেবাও দুর্দান্ত। হোটেলের ঘরগুলি থেকেই সরাসরি দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। খাওয়া শেষ করে তড়িঘড়ি ঘুমোতে যাওয়ার তাড়া। পরেরদিনের গন্তব্য ফালুট। দূরত্ব প্রায় ২১ কিমি। 

কাঞ্চনজঙ্ঘা

{ad}

 

(*পরের অংশ আগামীকাল*)

Comments :0

Login to leave a comment