US ECONOMY IN DECLINE

‘টাইমবোম্ব’-এর উপর দাঁড়িয়ে মার্কিন অর্থনীতি

আন্তর্জাতিক

usa economy global economy economic melt down bengali news বেনজির সঙ্কটের মূুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে মার্কিন অর্থনীতি

চলতি বছরের গ্রীষ্মেই নজিরবিহীন আর্থিক মন্দার মুখে পড়তে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অভিঘাতের নিরিখে তা ছাপিয়ে যেতে পারে ১৯২০’র দশকে হওয়া ‘গ্রেট ডিপ্রেশন’কেও। একইসঙ্গে বর্তমান যুব সম্প্রদায় বা ‘মিলেনিয়ালস্‌’রাও তাঁদের জীবদ্দশায় এতবড় আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হবেন না। এমনই সতর্কবাণী শুনিয়েছেন মার্কিন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ হ্যারি ডেন্ট।

পশ্চিমী অর্থনৈতিক বৃত্তে হ্যারি ডেন্ট অন্যতম পরিচিত নাম। দীর্ঘদিন নিউ ইয়র্ক টাইমস্‌’র বেস্টসেলার বা সর্বাধিক জনপ্রিয় লেখকদের তালিকায় উপরের দিকে ছিল তাঁর নাম। দ্যা গ্রেট ডিপ্রেশন আহেড’র মতো একাধিক বই লিখেছেন তিনি। সেই হ্যারি ডেন্টের গলায় শোনা গেল সতর্কবার্তা। 

রাশিয়ার সরকারি সংবাদসংস্থা আরটি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ডেন্ট। সেখানে তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক নীতির জন্যই বিপর্যয় হতে চলেছে। ডেন্টের দাবি, স্টান্ডার্ড অ্যান্ড পুয়োরস্‌ ৫০০ বা এস অ্যান্ড পি ৫০০ সূচকের মান ৮৬ শতাংশ কমে যেতে পারে। একইসঙ্গে মার্কিন শেবার বাজার বা ন্যাসড্যাকের মান হ্রাস পেতে পারে ৯২ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, এস অ্যান্ড পি সূচকের মাধ্যমে আমেরিকার  ৫০০টি সর্ববৃহৎ সংস্থার আর্থিক গতিবিধি নজরে রাখা হয়। আর ন্যাসড্যাকের মাধ্যমে বাজারের সার্বিক চিত্র দেখতে পান লগ্নিকারীরা। ডেন্টের পূর্বাভাস সঠিক হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির সলিল সমাধি ঘটতে চলেছে।

ডেন্টের দাবি, প্রথাগত বাজারের পাশাপাশি বিট কয়েনের মতো প্রযুক্তি নির্ভর ক্ষেত্রেও মন্দা থাবা বসাবে। বিট কয়েনের মূল্য হ্রাস পেতে পারে ৯৫-৯৬ শতাংশ হারে। ডেন্টের অনুমাণ, ৬৯ হাজার মার্কিন ডলার থেকে কমে একটি বিট কয়েনের দাম দাঁড়াতে পারে ৩-৪ হাজার ডলারে।

নিজের পূর্বাভাসের স্বপক্ষে একাধিক কারণও জানিয়েছেন ডেন্ট। আরটি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডেন্ট জানিয়েছেন, মার্কিন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বা ইউএস ফেডারেল রিজার্ভের ভুল আর্থিক নীতির ফলে শেয়ারের মান ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে। এই বুদবুদ খুব তাড়াতাড়ি ফাটতে চলেছে। তখন একধাক্কায় নিজেদের আসল স্থিতিতে নেমে আসবে শেয়ার বাজার। কিন্তু তারফলে ঘটবে আর্থিক বিপর্যয়। চোখের নিমেষে নিজেদের লগ্নি কর্পূরের মতো উবে যেতে দেখবেন সাধারণ মানুষ।

ডেন্ট আরও জানিয়েছেন, কোভিড এবং লকডাউনের ফলে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির গোটা কাঠামো ভেঙে পড়েছে। ব্যাপক হারে কাজ হারিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তারফলে সার্বিক ভাবে বাজারে চাহিদা কমেছে। একইসঙ্গে পশ্চিমী বিশ্বে মাথাচাড়া দিয়েছে তীব্র মূল্যবৃদ্ধি। আমেরিকা, বৃটেন, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশগুলির কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সেই মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। বৃহৎ সংস্থাগুলির বিপুল ঋণ মুকুব করা হয়েছে। তারফলেও স্বাস্থ্যহানী হয়েছে অর্থনীতির। 

ডেন্টের সংযোজন, ‘‘সব মিলিয়ে ‘টাইম বোম্ব’-এর উপর দাঁড়িয়ে রয়েছি আমরা’’। 

Comments :0

Login to leave a comment