চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে বসিরহাটে বেসরকারি নার্সিং হোমে ব্যাপক ভাঙচুর। তৈরি হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ। অভিযোগ ভাঙচুর চালায় মৃতার গ্রামের লোকজন। নিগ্রহ করা হয় চিকিৎসককেও। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটে ঘটনাটি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা সূত্রে জানা যায় ,মৃত মহিলার নাম মমতাজ বিবি (২৭)। বাড়ি বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ইটিন্ডা পানিতর গ্রামে।
এদিন তাঁকে বসিরহাটের নৈহাটিতে ইটিন্ডা রোডের ধারে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। এদিনই তাঁর সিজার করা হয়। মমতাজ বিবি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু প্রসূতির শারিরীক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরিবারের লোকজনকে জানানো হয় প্রসূতির শরীরে রক্তের ঘাটতি রয়েছে। রক্তের প্রয়োজন। আত্মীয়, পরিজন, প্রতিবেশীরা অনেকেই রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে চলে আসেন। ততক্ষণে রোগীর অবস্থার অবনতি হয়। নার্সিংহোমের বেডেই তাঁর মৃত্যু হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পরিবারের লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। গ্রাম থেকে আরও লোকজন এসে নার্সিংহোমে তান্ডব চালায়। চেয়ার টেবিল, জানলার কাচ, রিসেপশনে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। কয়েকজন মোবাইলে ছবি তুলতে গেলে তাদেরকেও মারধর করা হয়েছে। নার্সিংহোমের এক চিকিৎসককেও মারধর করা হয়েছে। প্রসূতির বাড়ির লোকের অভিযোগ , নার্সিংহোমে কোন পরিকাঠামোই নেই। বাইরে থেকে যত চাকচিক্য। চিকিৎসার গাফিলতির ফলে মমতাজ বিবির মৃত্যু হয়েছে। এর জন্য নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসক দায়ী। ‘সোম মেডিকেল সেন্টার নার্সিং হোমের চিকিৎসক ডাঃ ভাস্কর সোম বলেন, চিকিৎসায় কোন গাফিলতি হয় নি। আগে থেকেই মমতাজ বিবির ব্লাড প্রেসার বেশি ছিল। সিজারের পরে অবস্থার অবনতি হয়। নার্সিংহোমে চিকিৎসার সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে। বসিরহাট জেলা হাসপাতালের কাছেই নার্সিংহোমটি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় মানুষের। তাঁদের দাবি, এর আগেও একাধিকবার ওই নার্সিংহোমে রোগি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চিকিৎসার গাফিলতিতে। অবিলম্বে নার্সিংহোমটি বন্ধের দাবি তুলেছেন অনেকেই। সেইসঙ্গে চিকিৎসকের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন মৃতার পরিবার।
Comments :0