২০২০ সালে কলেজ সার্ভিস কমিশনের বিভিন্ন বিষয়ে মেধাতালিকা প্রকাশের পরপরই সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। খুব সংগত কারণেই উঠেছিল। বহু উচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থী এই মেধাতালিকায় নাম তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। ২০১৮ সাল থেকে এই রাজ্যে ইউজিসি নিয়ম মেনে সিবিসিএস পদ্ধতিতে পঠনপাঠন চলছে। ২০২০ থেকে নয়া শিক্ষা নীতি অনুসারে চালু হয়েছে চার বছরের ডিগ্রী কোর্স। এমতাবস্থায় কলেজগুলির পঠনপাঠন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিপুল সংখ্যক স্থায়ী অধ্যপক নিয়োগ আবশ্যিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ বাস্তবের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিপরীত। প্রয়োজনীয় শিক্ষকের অপ্রতুলতায় কলেজগুলোয় পঠনপাঠন চালানো যখন কার্যত অসম্ভব হয়ে ঠেকেছে, কমিশন প্রকাশিত একের পর এক মেধাতালিকায় অস্বাভাবিকভাবে শূণ্য পদ কমিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ের মেধাতালিকায় চোখ রাখলে বোঝা যাবে গতবারের প্রকাশিত মেধাতালিকাগুলির এক তৃতীয়াংশ নামও সেখানে নেই। অথচ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার খবর করানো হয়েছিল হাজার হাজার অধ্যাপক নিয়োগের। প্রায় প্রতিটি বিষয়ে প্রতি বছর হাজার হাজার এপ্লিকেশন জমা পড়লেও তিন বছর বাদে ২০২৩-এ এসে যখন মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়, তখন দেখা যায় সিট মাত্র কয়েকশো। অথচ বিপুল পরিমাণ এপ্লিকেশন ফি নিলেও ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তির সময় শূন্য পদের সংখ্যা জানানো হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে এদিন সাংবাদিক সম্মলেন করে অবিলম্বে সমস্ত শূণ্যপদে নিয়োগের দাবি জানালেন চাকরিপ্রার্থীরা। আজকের সম্মেলনে শিক্ষাবিদ মিরাতুন নাহার বলেন, "নিয়োগ আটকে রাখা মধ্যেও দুর্নীতি আছে। এর দায় মুখ্যমন্ত্রীর, শিক্ষামন্ত্রীর। ওনারা যদি প্রকৃতই জনগণের প্রতিনিধি হতেন তাহলে এমনটা হতে পারত না। এই উচ্চশিক্ষিত ছেলেমেয়েদের সমস্যায় শিক্ষা দফতর কিভাবে হাত গুটিয়ে বসে আছে সেটাই ভেবে পাচ্ছি না। এর বিরুদ্ধে আমার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।"
WBCSC
সরকারি কলেজগুলির শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের সাংবাদিক সম্মেলন
×
Comments :0