পাঁচ স্তরে লোহার ব্যারিকেড। তা পিছনে বিশাল মাপের কনটেনার। এর পরেই বসছে পুলিশের ব্যূহ। দিল্লির শেষ প্রান্তের সেই গাজিপুর, সিঙ্ঘু আর টিকরিতে এমনই আয়োজন বিজেপি সরকারের। সবটাই দেশের কৃষকদের ঠেকাতে।
১৩ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার ‘দিল্লি চলো’-র ডাক দিয়েছে একাধিক কৃষক সংগঠন। মুখ্য দাবি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার জন্য আইন করতে হবে। কারণ সরকারি দাম ঘোষণা করা হলেও কৃষকদের তা মেলে না।
দু’বছর আগে দুর্বার কৃষক আন্দোলনকে এই আইনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারই। কিন্তু আইন হলো না। এবার কৃষকদের আটকাতে মরিয়া সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রের অধীন দিল্লি পুলিশের এত তৎপরতা।
কেন ঢুকতে দেওয়া হবে না কৃষকদের? দেশের মানুষকে বিজেপি’র এত ভয় কেন? ভয়, কারণ দেশের কৃষকদের ঠকিয়েছে বিজেপি। এই বক্তব্য কংগ্রেসের। দলের অন্যতম মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে মনে করিয়েছেন মোদী সরকারের মনোভাবের জন্যই বছরভর চলা দিল্লি বিক্ষোভে প্রাণ হারিয়েছিলেন সাড়ে সাতশো কৃষক।
দিল্লি পুলিশের সাজ সাজ রব সত্ত্বেও কৃষকরা দূর দূরান্ত থেকে ট্রাক্টর নিয়ে রওনা হচ্ছেন দিল্লিতে। পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা বা উত্তর প্রদেশের কৃষকরা দীর্ঘ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েই যাচ্ছেন দিল্লির দিকে।
সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিও দেখাচ্ছে কোথাও কোথাও পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়ছে ট্রাক্টর।
রবিবার রাত থেকেই তৎপরতা শুরু করেছে বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি সরকার। কর্ণাটক থেকে যে কৃষকরা আসছিলেন দিল্লিতে, ভোপাল স্টেশনে তাঁদের আটকেছে মধ্য প্রদেশের পুলিশ।
দলের নেতা মুক্তার আব্বাস নকভিকে এখন মাঠে নামিয়েছে বিজেপি। তিনি বলছেন, ‘‘কৃষকদের জীবমান উন্নত করার ধাবাহিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাঁদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।’’
দিল্লির ‘আপ’ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ বলছেন, ‘‘এতই যদি হয়ে তাকে তা’হলে কৃষকদের ভয় পাচ্ছে কেন বিজেপি?’’
Comments :0