কনস্টেবল নিয়োগ করবে না বলেই সিভিক পুলিশ চালু করেছিল রাজ্য। এখন আদানির দিকে তাকিয়ে কনস্টেবল নিয়োগের ঘোষণা হচ্ছে। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে এ কথা বলেছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় সিপিআই(এম) ডাকে মিছিল হয়। চক্রবর্তী সহ সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ অংশ নেন মিছিলে।
সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এই সদস্য বলেছেন, ‘‘আদানি গোষ্ঠীর বেপরোয়া লুটের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই লুট এখন ধরা পড়ে গিয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রী এই আদানিকে ডেকে এনেছেন রাজ্যের তাজপুরে, ডেউচা পাচামিতে।’’
ডেউচা পাচামিতে কয়লা খনি প্রকল্পের বিরোধিতায় সরব স্থানীয়রা। আদিবাসী প্রধান এই এলাকায় এখন জমি নেওয়ার জন্য দেদার প্রতিশ্রুতি বিলাচ্ছে তৃণমূল সরকার। কনস্টেবলের চাকরি দেওয়ার ঘোষণা হচ্ছে।
চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘স্থায়ী চাকরি, ইএসআই, প্রভিডেন্ট ফান্ড নেই সিভিক পুলিশেরই। এখন বলা হচ্ছে কনস্টেবল নিয়োগ হবে!’’ তিনি বলেছেন, ‘‘বিবিসি’র তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া দি মোদী কোয়েশ্চেন’-র প্রদর্শন বন্ধ করার জন্য বিজেপি’র মতো তৃণমূলও সক্রিয়। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে। এখানে প্রেসিডেন্সিতে তৃণমূল বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করেছে।’’
এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেছেন, ‘‘সারা ভারতের মানুষ জানে ২০০২ সালে গুজরাটে কিভাবে সংখ্যালঘু গণহত্যা হয়েছে। বিলকিস বানো ধর্ষণ, প্রাক্তন সাংসদ কংগ্রেসের এহসান জাফরিকে পুড়িয়ে হত্যা তারই একেকটি অংশ। রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন বিজেপি’রই হারিন পান্ডিয়া। তাঁকেও খুন করা হয়েছে। কে খুন করেছে প্রশ্ন তোলা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর এত ভয় কেন? প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে এই সংকীর্ণতা, বিভাজনের রাজনীতি চালানো মেনে নেওয়া যাবে না।’’
গুজরাট গণহত্যার সময় কেন্দ্রের সরকারে ছিল বিজেপি জোট। সেই সরকারে মন্ত্রী ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি।
Comments :0