শঙ্কর ঘোষাল
ঝড়ে গাছ হেলে পড়েছিল মাধবডিহি থানার একলক্ষ্মী অঞ্চলে। গাছটি আবার নরোত্তমবাটি গ্রামের এক তৃণমূল নেতার জমিতে। নেতাকে সরাসরি বলতে সাহস হচ্ছিল না। গ্রামবাসীদের সরাসরি ফোন মীনাক্ষীকে, মানে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জিকে।
কাজও হয়েছে। কিছু পরে রেড ভলান্টিয়াররা পৌঁছান সেখানে। পুলিশকে বলে গাছ কেটে দেওয়ার ব্যবস্থাও করেন। তার আগে পূর্ব বর্ধমান জেলা ডিওয়াইএফআই নেতাদেরকে ফোন করেন মীনাক্ষী।
বর্ধমানে ভোট মিটে গিয়েছে। দুর্যোগেও জনতা দেখা পাচ্ছেন না তৃণমূল বা বিজেপি’র কাউকে। তৃণমূল ও বিজেপি যখন ঘরে ঢুকে গিয়েছে তখনই রেমালের মতো দুর্যোগে রেড ভলান্টিয়ার বাহিনী রাস্তায়। করোনা মহামারীর সময় এই বাহিনীই ঘরে ঘরে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছিল।
নন্দীগ্রাম বা যাদবপুরের মতো রাজ্যের বহু জায়গায় সোমবার সক্রিয় থাকলেন রেড ভলান্টিয়াররা। রেমালের দুর্যোগে কোথাও কোথাও গ্রামের ভেঙে পড়া ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য বাড়ি তৈরি করে দিয়েছেন রেড ভলান্টিয়াররা। মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে ত্রিপল কিনে ভাঙা বাড়ির ছাদ ঢেকে দিয়েছে। গত রবিবার রাত থেকে অসুস্থ মানুষের পাশে থেকেছেন রেড ভলান্টিয়ার।
রায়নার শ্যামদাসবাটী গ্রামের সন্ধ্যা অধিকারীর রক্তের প্রয়োজন হয়। তাঁকে দু’বোতল রক্ত যেমন দিয়েছে রেড ভলান্টিয়াররা তেমনই শ্যামসুন্দরে শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা রুগির বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দিয়েছে।
শুধু রায়না নয় পূর্ব বর্ধমান জেলায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রেড ভলান্টিয়ার বাহিনী। এসএফআই হেল্পলাইন খুলেছে। স্লোগান ছিল ‘ঝড়কে আমি করবো মিতে, ডরব না তার ভ্রুকুটিতে’। এই হেল্পলাইনে গোটা পূর্ব বর্ধমান জুড়ে ২৪টি ফোন নম্বর দেওয়া ছিল, তার সঙ্গে ছিল হোয়াটসঅ্যাপ ও ই-মেল নম্বরও।
REMAL RED VOLUNTEERS
ঝড়ের দিনেও বন্ধু হলেন সেই রেড ভলান্টিয়াররা
×
Comments :0