বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতির কারণে চৈনগর সীমান্তে এবার মিলন মেলা হচ্ছে না। বিএসএফ, উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন, ব্লক প্রশাসন, পুলিস ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মাইকিং ও প্রচার করেছে। মেলা বন্ধ তা সরকারি সিদ্ধান্ত ব্লক ও সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় জানানো শুরু করেছে।
রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক নেই। তাই বিএসএফের তরফে মেলার জমায়েত রুখতে আবেদন জানানো হয়েছিল। তাই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কাঁটাতার সংলগ্ন এলাকায় যাতে কোনও জমায়েত না হয় তা দেখতে বলা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময় এপার-ওপার মিলে মিশে এক হয়ে যেত । এই স্মৃতি আঁকড়ে ধরে প্রতি বছর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের ১ নম্বর চৈনগর পঞ্চায়েতে বাংলাদেশ সীমান্তে বসে মিলন মেলা। বাংলাদেশের শতাব্দী প্রাচীন কালীপুজোকে কেন্দ্র করে কাঁটাতার মাঝে রেখে দু’দেশের মানুষ মিলিত হয়। এবছর সেই মেলার কথা ছিল ৬ ডিসেম্বর। কিন্তু বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতির কারণে এই বছর মেলা নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। প্রতি বছর ডিসেম্বরে দুই দেশের মানুষ কিছু সময়ের জন্য কাঁটাতারের দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে মিলন মেলায় শামিল হন। দুই প্রান্ত থেকে উপহার রীতিমতো ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এবছর পুরোপুরি বন্ধ রাখা হচ্ছে মিলন মেলা। সীমান্তে বিএসএফের নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি কাঁটাতার সংলগ্ন এলাকায় টহল দেবে হেমতাবাদ থানার পুলিস।
সীমান্তে যাওয়ার আগেই রবিবার থেকে বাড়তি পুলিস মোতায়েন করা হচ্ছে । সীমান্তে ১৪৪ ধারা জারি করা থাকবে জানা গেছে।
বিএসএফ ও প্রশাসনের এই নির্দেশকে স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে প্রশাসন দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা যে সাধারণ মানুষের স্বার্থে সে কথা জানেন বাসিন্দারা । গ্রামে প্রচার জোরকদমে প্রচার হচ্ছে।
তবে মায়া মল্লিক শীবানী সরকার এমন অনেকে জানাচ্ছে করোনা সময় কালেও মেলা বসেছিলো, ওপারের আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে কাটাতাড়ের বেড়ার ফাঁকে দেখা হয়েছিলো। তবে বাংলাদেশ যত অশান্ত হোক রেগুলার মোবাইলে দেখা সাক্ষাত হচ্ছে। আক্ষেপ একটাই এবছর নতুন জামা কাপড় দেওয়া যাবে না।
Comments :0