Fraud

সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ গ্রেপ্তার শাসক ঘনিষ্ঠ

রাজ্য জেলা

শাসক দল ঘনিষ্ঠ ইসলামপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরের এক সরকারি কর্মচারী সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ করায় গ্রেপ্তার হয় শুক্রবার রাতে। শনিবার ধৃতকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে তিনদিনের পুলিশের রিমান্ডে পাঠায়। ধৃতের নাম সাজিদ আলম। বাড়ি তার বাড়ি ইসলামপুর থানার মীরবস্তি ধনতলা গ্রামে। তিনি ইসলামপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরে চতুর্থ শ্রেণী পদে চাকরি করেন। সিপিআই(এম) নেতা রঘুপতি মুখার্জী জানানইসলামপুরে কান পাতলে এমন অনেক সাজিদের খবর মিলবে। আসলে শাসক দলের নেতা ও তাদের ঘনিষ্ঠরা চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে বসে আছে। এত নতুন কিছু নয়। যার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ নিরীহ মানুষকে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে২০২১ সাল থেকে ধাপে ধাপে সাজিদ আলম তার আত্মীয় নাইয়ার আলমের কাছ থেকে কয়েকজনের চাকরি দেওয়ার নাম করে ১১ লক্ষ টাকা নেয়। এদিন নাইয়ার আলম জানানসাজিদ আলম কয়েক দফায় আমার কাছ থেকে আমাদের  কয়েকজন আত্মীয়কে চাকরি দেবার নাম করে প্রলোভন দেখায়। একাধিকবার প্রলোভন দেখানোর পর আমরা তার প্রস্তাবে সম্মত হয়ে তাকে টাকা দিয়েছি। কিন্তু তিনি আমাদের মহকুমা শাসকের দপ্তরের আধিকারিকের সই নকল করে অর্ডার কপি দেয় এমনকি উত্তর দিনাজপুর জেলা শাসকের দপ্তরের এস্টাবলিশমেন্ট সেকশনের নকল অর্ডার কপি আমাদের দেয়। ওই অর্ডার কপি নিয়ে আমি যখন ইসলামপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরে খোঁজখবর নিয়ে বুঝতে পারি যে আমরা প্রতারিত হয়েছি। 

সাজিদ আলম আমাদের আত্মীয় হওয়ায় বিষয়টি আত্মীয় মহলে জানানো হয় এবং টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিলে তিনি আমাদের কুড়ি হাজার টাকা ফেরত দেন এবং গতবছরের ১৩ ডিসেম্বর এফিডেভিট করে অঙ্গীকার করেন যে আমাদের অর্থ তিনি দ্রুততার সাথে ফেরত দেবেন। কিন্তু সেই টাকা ফেরানোর কোন নাম না করায় তিন দিন আগে ইসলামপুর থানা অভিযোগ দায়ের করি। 

সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় ভাওয়াল জানানচাকরি দেবার নাম করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে সাজিদ আলম কে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং এদিন তাকে ইসলামপুর মহাকুমা আদালতে তুলে সাত দিনের পুলিশি হেপাজতের আবেদন জানায়। কিন্তু আদালত তিন দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে। 

Comments :0

Login to leave a comment