ঘটনার সূত্রপাত ডিসেম্বর মাসে। ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের তরফে ৫ হাইকোর্ট বিচারপতির পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি করার সুপারিশ করে ৬ সদস্যের কলেজিয়াম। বাকি ২ বিচারপতির পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়।
কিন্তু কেন্দ্রের তরফে টালবাহানা চলতে থাকে। এর আগেও সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশ নিয়ে সংঘাতের পথে হেঁটেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের দাবি, বিচারকদের পদোন্নতির বিষয়ে কেন্দ্রের মতামত দেওয়ারও ন্যূনতম সংস্থান নেই। বদ্ধ ঘরের মধ্যে এই সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। এই পরিস্থিতি নির্বাচিত সরকারের ভূমিকাকে খর্ব করে। তাই বিচারপতিদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে কেন্দ্রের মতামত অন্ততপক্ষে শোনা হোক। যদিও কেন্দ্রের এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, এমন দাবির কোনও সাংবিধান ভিত্তি নেই।
শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কল এবং বিচারপতি অভয় এস ওকার ডিভিশন বেঞ্চ অ্যাটর্নি জেনারেল এন ভেঙ্কাটারমণিকে যত ৭ দিনের মধ্যে ওই পাঁচ বিচারপতির পদোন্নতির বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেন। জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আরও কিছুদিন পেলে ভালো হত। তখন দুই বিচারপতি জানান, ১০ দিনের মধ্যে তাঁরা ‘ভালো খবরের’ প্রত্যাশা করছেন। কিন্তু এর অন্যথা হলে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হবে না সুপ্রিম কোর্ট।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে ৩৪ জন বিচারপতির সংস্থান রয়েছে। বর্তমানে ৭টি আসন খালি।
Comments :0