‘‘সন্দেশখালির মানুষের বেঁচে থাকার স্বপ্ন মুছে যেতে চলেছে। সেই জন্যই এই আন্দোলন। আপনাদের পাশে থাকার প্রয়োজন।’’
শনিবার, গ্রেপ্তার হওয়ার আগের দিন, এই বার্তা দিয়েছিলেন সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক, সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য এবং সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক নিরাপদ সর্দার। তাঁর বক্তব্য শুনুন এই ভিডিওতে।
তাঁর বক্তব্য: ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট পরাজিত হলেও সন্দেশখালিতে নিরাপদ সর্দারই জয়লাভ করেন। বেশিরভাগ মানুষ বাম মনোভাবাপন্ন। মানুষ শান্তিতে ছিলেন। ২০১১’র পর তত মানুষের বিপদ বেড়েছে।
২০১৩’র পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট হয়নি, জোর করে তৃণমূল দখল করে নিল। পঞ্চায়েতের ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে গেল। কোনও নির্বাচনে মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারলেন না। ২০১১’র পর মানুষ ভোটাধিকার একেবারে হারালেন।
মানুষ আর পঞ্চায়েতে যেতে পারে না। কিন্তু তৃণমূল প্রচার করে চলেছে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে এই এই কর্মসূচি করছি।
জানতে ইচ্ছে করে ২০১২’র পর থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমছে। আমাদের আশঙ্কা, বঞ্চিত হচ্ছেন গরিব গ্রামীণ আদিবাসী পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা। এই তথ্য ঠিক কিনা মমতা ব্যানার্জি ব্যাখ্যা করুন। বিধানসভায় এই প্রশ্ন তুলেছিলাম। উত্তর আসেনি। সন্দেশখালি, সুন্দরবনে স্কুলছুট বেড়েছে।
আরেকদিকে দেখলাম গরিব মানুষের পাট্টা জমি সমানে দখল হয়ে গেল। মানুষ অধিকার হারাতে বসলেন। এই অধিকার হারানো মানুষ দলমত নির্বিশেষে মানুষ একজোট হলেন। একজোট না হলে লড়াইয়ে জিততে পারব না। থানা ব্যবস্থা নিল না। শিবু আর উত্তম বাইরে থেকে বাহিনী নিয়ে প্রতিবাদীদের ওপর চড়াও হয়েছে। সেই অবস্থাতেই মানুষ ঐক্যবদ্ধ হলেন। সাধারণ মানুষের জোটের কাছে এরা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
সন্দেশখালির মানুষকে পুলিশ বিপদে ফেলেছে, সরকার বিপদে ফেলেছে। এই লড়াইকে উৎসাহিত করতে সবাই পাশে থাকুন। তাঁরা অধি
Comments :0