Farmer protest

দিল্লি সীমান্তে ফের লাগাতার অবস্থানের হুঁশিয়ারি কৃষকদের

জাতীয়

টানা ১৩ মাস দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের অবস্থান দেখে গোটা দেশ। তাদের দাবি ছিল ফসলে ন্যায্য দাম। মঙ্গলবার ফের সেই দাবিকে সামনে রেখে গোটা দেশে আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকরা। রাজ্যে রাজ্যে, জেলায় জেলায় চলছে আইন অমান্য। পাঞ্জাব হরিয়ানায় পুলিশের সাথে সরাসরি সংঘাতে নেমেছন কৃষকরা।

কৃষকদের পক্ষ থেকে দিল্লি অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। তার জন্য কাল থেকে গোটা দিল্লি জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে অনড় কৃষকরা। শয় শয় ট্র্যাক্টর দিল্লি সীমান্তের সামনে জড়ো হয়েছে ইতিমধ্যে। তাদের সঙ্গে আছে অন্ত ছয় মাসের খাদ্য সামগ্রী। 

পাঞ্জাবের এক কৃষক সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন যে, ‘‘আমরা ছব মাসের খাদ্য সামগ্রী সহ প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিয়েই গ্রাম ছেড়েছি। আন্দোলন ছেড়ে চলে যাওয়ার কোন প্রশ্ন নেই।’’ তাদের অভিযোগ বিভিন্ন জায়গায় তাদের ডিজেল দেওয়া হচ্ছে না যাতে তারা ট্র্যাক্টর নিয়ে দিল্লি পর্যন্ত যেতে না পারেন।

২০২০ সাল থেকে দিল্লি সীমান্তে অবস্থান শুরু করেন কৃষকরা। হান্নান মোল্লা সহ একাধিক প্রথমসারির কৃষক নেতা এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে বৈঠকও করেন তারা। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে ফসলের ন্যায্য দামের আইন চালু করা হবে। কিন্তু তা হয়নি। সরকার তার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। তাই এবার কৃষকরা জানাচ্ছেন দাবি পুরোপুরি ভাবে মানা হলেই তারা তাদের আন্দোলন থামাবেন। 

বাঁধা আসবে জানা সত্ত্বেও কৃষকরা দূর দূরান্ত থেকে ট্রাক্টর নিয়ে রওনা হচ্ছেন দিল্লিতে। পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা বা উত্তর প্রদেশের কৃষকরা দীর্ঘ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েই যাচ্ছেন দিল্লির দিকে। 

সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিও দেখাচ্ছে কোথাও কোথাও পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়ছে ট্রাক্টর। 

রবিবার রাত থেকেই তৎপরতা শুরু করেছে বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি সরকার। কর্ণাটক থেকে যে কৃষকরা আসছিলেন দিল্লিতে, ভোপাল স্টেশনে তাঁদের আটকেছে মধ্য প্রদেশের পুলিশ। 

  

Comments :0

Login to leave a comment