ADANI POWER BANGLADESH

আদানির বিদ্যুৎ প্রকল্প ঘিরে অভিযোগ বাংলাদেশেও

আন্তর্জাতিক

আদানির বিদ্যুৎ প্রকল্পে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বাংলাদেশে। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় আদানির বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে ভারতেই ক্ষোভ যথেষ্ট। বাংলাদেশে ক্ষোভের কারণ চড়া হারে আদানির বিদ্যুৎ কিনতে বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারে ক্ষয়। 

আন্তর্জাতিক স্তরে প্রচারিত সংবাদ ওয়েবসাইট ‘আল জাজিরা’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্ষোভের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রাক্তন প্রধান বিডি রহমতুল্লাহ। তিনি বলেছেন, ‘‘এই প্রকল্পে চারটি পক্ষ। ভারত এবং বাংলাদেশের জনগণ, আদানি গোষ্ঠী এবং বাংলাদেশ সরকার। লাভবান হচ্ছে কেবলমাত্র একটিই পক্ষ- আদানি।’’

আদানির সঙ্গে বৈদেশিক চুক্তি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ সফরের যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সংসদেই। লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হওয়ার আগে ফেব্রুয়ারিতে সেই প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। একাধিক বিদেশ সফরের মধ্যে উল্লেখ ছিল বাংলাদেশের। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা সেই বক্তব্য যদিও সংসদীয় নথি থেকে মুছে দিয়েছেন। তবে বিতর্ক থামছে না। 

গোড্ডায় ১৬ মেগাওয়াটের এই প্রকল্পের বিদ্যুতের জন্য কয়লা আসছে অস্ট্রেলিয়ায় আদানির খনি থেকে। আদানির হাতে সেই খনির বরাত মেলার সঙ্গেও মোদীর সফরের সংযোগ পাওয়া গিয়েছে। কয়লা ভারতে পৌঁছাচ্ছে আদানির নিজস্ব মালিকানায় চালানো গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দরে। তারপর সেই কয়লা যাচ্ছে গোড্ডায়। পরিবেশ বিধি তোয়াক্কা না করে প্রকল্প চালানোর অভিযোগ রয়েছে ঝাড়খণ্ডে। 

সীমান্তের অপর পারে বাংলাদেশে অভিযোগ, বিদ্যুতের ইউনিট পিছু চড়া দাম নিচ্ছে আদানি। ভারত সরকার গোড্ডার প্রকল্পকে ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ ঘোষণা করায় করভার হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু সেই সুবিধা বাংলাদেশকে দেওয়া হয়নি। 

আদানির মুখপাত্র যদিও ‘আল জাজিরা’-কে জানিয়েছেন যে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার কখনও দাম কমানোর তদ্বির করেনি। 

বাংলাদেশে পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, প্রকল্পের অস্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন কয়েক বছর ধরে থাকলেও ক্ষোভ দানা বাঁধেনি। কিন্তু চলতি অর্থনৈতিক সঙ্কট জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে। দাম বাড়ছে পরিষেবার। বিদেশি মুদ্রার সঙ্কট প্রতিবেশি অর্থনীতিতে। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে জালিয়াতিও ধরা পড়েছে। এই সময়েই আদানির প্রকল্প ঘিরে প্রশ্নের মুখে পড়ছে হাসিনা সরকার। 

 

Comments :0

Login to leave a comment