MEDICAL COUNCIL PROTEST

দুর্নীতি, শাসানির মাথা মেডিক্যাল কাউন্সিল ভাঙার দাবি চিকিৎসকদের

রাজ্য

সল্টলেকে মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে বক্তব্য রাখছেন চিকিৎসক উৎপল ব্যনার্জি।

ভেঙে দিতে হবে কারচুপিতে তৈরি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। কারণ ভোটে কারচুপি করে তৈরি হয়েছিল এই কাউন্সিল। বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল কাউন্সিলে ডেপুটেশন দিয়ে এই দাবি জানালেন একাধিক চিকিৎসক সংগঠন এবং মঞ্চের প্রতিনিধিরা। 

বৃহস্পতিবার সল্টলেকে ডেপুটেশন দিয়ে বেরিয়ে এসে এই প্রতিবাদী চিকিৎসকরা বলেছেন, রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজে শাসানির সংস্কৃতি চলছে। ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে। এই ‘থ্রেট কালচার’ চলছে মেডিক্যাল কাউন্সিলের দুর্নীতিগ্রস্ত সদস্যদের মদতে।

বৃহস্পতিবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল ‘সাফাই অভিযানের’ ডাক  দিয়েছিল আইএমএ ওয়েস্ট বেঙ্গল, জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস, জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের মতো একাধিক মঞ্চ। বৃহস্পতিবার সল্টলেকে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল অফিসের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করেন চিকিৎসকরা। গোটা মেডিক্যাল কাউন্সিল ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ-হত্যার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে ফেটে পড়েছে প্রতিবাদ। প্রতিবাদের মুখে পড়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা, হাসপাতাল, মেডিক্যাল শিক্ষায় দুর্নীতি। মেডিক্যাল ছাত্ররা বেরিয়ে এসে তৃণমূল মদতপুষ্ট শাসানি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে শামিল হচ্ছেন। 

রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের ও অন্যান্য হাসপাতালের সিনিয়ার চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বর্তমান মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্যদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সরাসরি নাম করে অনেক কাউন্সিল সদস্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে আনেন। জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরসের অন্যতম সদস্য অরিন্দম ভট্টাচার্য ‘গণশক্তি’-কে বলেন, ‘‘মেডিক্যাল কাউন্সিলের অনেক পদাধিকারী তাঁরা সবাই অপরাধের সাথে যুক্ত থাকার দায়ে তাঁদের নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। আমার দীর্ঘ দিন ধরে মেডিক্যাল কাউন্সিল নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছি। আমাদের প্রধান দাবি এই কাউন্সিল ভেঙে দিতে হবে। জালিয়াতি করে এই কাউন্সিলের নির্বাচন হয়েছে।"

এই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল অফিসের সামনে আটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। মোতায়েন ছিল বিরাট পুলিশ বাহিনী সাথে কাঁদানে গ্যাস। ডাক্তাররা বলেন আমার কোনো অপরাধী নই। আমাদের আটকানোর জন্য এতো পুলিশি ব্যবস্থা কেন। নয় জনের প্রতিনিধি দল কাউন্সিল অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলতে ও ডেপুটশন দিতে ভিতরে যায়। প্রথমে ৬ জন কে ভিতরে যেতে দিলেও উৎপল ব্যানার্জি,অরিন্দম ভট্টাচার্য সহ আরো একজনকে আটকে দেয় পুলিশ। তখনই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ডাক্তাররা। শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে বাক বিতণ্ডা। শেষে পুলিশ তাঁদের যেতে দিয়ে বাধ্য হয়।

Comments :0

Login to leave a comment