পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার ভিডিও বেরিয়ে পড়েছিল সদ্যই। অভিযোগ ছিল বহুদিন ধরেই। শেষ পর্যন্ত চোপড়ার দুষ্কৃতীবাহিনীর অন্যতম মহম্মদ খালেককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
খালেক গ্রেপ্তার হতেই জনরোষ আছড়ে পড়ে রামগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে। বিক্ষোভে যোগ দেওয়া বহু বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন তাঁদের জমি লুট করেছে খালেক আর তার দাদা ‘পলাতক’ আবদুল হক। চোপড়ার আরেক দুষ্কৃতী, আপাতত পুলিশের হেপাজতে থাকা তাজিমুল হক ওরফে জেসিবি’র পাশাপাশি আবদুল এবং তার ভাই খালেকও তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর রহমানের হয়ে কাজ করত।
বেরিয়ে পড়া ভিডিও-তে দেখা রক্তাক্ত গিয়েছে এক ব্যক্তি চেয়ারে আসীন অপরজনের পা ধরতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁকে কান ধরে ওঠবোস করতেও বাধ্য করা হচ্ছে। ভিডিও’র সত্যতা ‘গণশক্তি’ যাচাই করেনি। তবে স্থানীয়দের বক্তব্য চেয়ারে বসে থাকা ব্যক্তি আবদুলের ভাই খালেকের। পা ধরছেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত স্তরের এক নেতা। পঞ্চায়েতে আসন বিলি নিয়ে আলোচনায় বিধায়কের সামনে আবদুলের সঙ্গে পঞ্চায়েত স্তরের ওই নেতার তর্কাতর্কি হয়েছিল। পরে আবদুলের বাহিনী তুলে নিয়ে আসে ওই তৃণমূল নেতাকে।
চোপড়ার লক্ষ্মীপুরের একটি ভিডিও গত সপ্তাহে বেরিয়ে পড়ায় প্রথম দফায় তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। যুবক-যুবতীকে রাস্তায় ডেকে লাঠিপেটা করে তাজিমুল হক ওরফে জেসিবি। তারপর তৃণমূলের বিধায়ক হামিদুর রহমানের দুষ্কৃতীবাহিনীর একের পর এক কুকীর্তি সামনে আসতে থাকে। বের হতে থাকে বর্বরতার ঘটনা বেরিয়ে পড়ে খালেকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার ভিডিও। এই জেসিবি বাহিনীর বিরুদ্ধেই গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিআই(এম) কর্মী একুশ বছরের মনসুর আলমকে হত্যার অভিযোগ থাকলেও পুলিশ ধরেনি। পুলিশ এবং তৃণমূলের মদত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ঘটনাক্রমে।
সম্প্রতি আবদুল হকের সঙ্গে হামিদুর রহমানের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল।
শুক্রবার পুলিশ ফাঁড়িতে বিক্ষোভে যোগ দেওয়া স্থানীয় অনেকেই ক্ষোভ জানিয়েছেন তাঁদের জমি কেড়ে নেওয়ায়। কেউ কেউ বলেছেন বাড়ির মহিলাদের ওপর অত্যাচার করেছে এই দুষ্কৃতী বাহিনী।
Comments :0