Balurghat

প্রশাসনের উদাসীনতায় নিজস্বতা হারাচ্ছে আত্রেয়ী খাঁড়ি

জেলা

ক্যাপশ্যান- প্রশাসনের উদাসীনতায় বালুরঘাট আত্রেয়ী খাঁড়ি ক্রমশ মজে যাচ্ছে। ছবি অপূর্ব মন্ডল।

অপূর্ব মন্ডল- বালুরঘাট

 
বালুরঘাটের আত্রেয়ী খাঁড়ির জলাশয় ক্রমশ সরু হয়ে নিজস্বতা হারিয়ে ফেলছে। ক্ষোভ জানাচ্ছে বালুরঘাট বাসি। খাঁড়ির দুই পাড়ে অবৈধ দখলদারিদের দ্বারা মাটি, কংক্রিটের বর্জ্য সহ অন্যান্য সামগ্রী ফেলে খাঁড়ির জলাশয় ভরাটের অভিযোগ প্রশাসনকে জানালেও কাজ হয়নি। খাঁড়ির জলে ভাসমান কচুরিপানা সহ আগাছা  জঙ্গল পরিস্কার করেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরও। ফলে খাঁড়ির শ্রোত প্রায় নেই বললেই চলে।  খাঁড়ির সংস্কারে বালুরঘাট পৌরসভাও সঠিক কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আত্রেয়ী খাঁড়িটি অনেকেই আবার ডাঙ্গা খাঁড়ি নামেও চেনে। 
জানাযায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের একটি নিম্ন জলাভূমি থেকে খাঁড়িটি বেড়িয়ে অন্তত ১৪ কিলোমিটার অতিক্রম করে বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীতে মিশেছে। বালুরঘাট ব্লকের ডাঙ্গা পঞ্চায়েত পেরিয়ে বালুরঘাট পুলিশ লাইনের পেছনের অংশ দিয়ে বালুরঘাট পৌরসভাতে প্রবেশ করে এবং কয়েকটি ওয়ার্ডের অভ্যন্তরের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে আন্দোলন সেতুর নিচ দিয়ে আত্রেয়ী সদর ঘাট এলাকায় আত্রেয়ী নদীতে পতিত হয়েছে। বালুরঘাট পৌরসভা এলাকাতে খাঁড়িটি আত্রেয়ী খাঁড়ি নামেই পরিচিত। খাঁড়ির পারের স্থায়ী বাসিন্দাদের অভিযোগ খাঁড়িটি পূর্বে প্রায় দুইশো মিটার চওড়া ছিল। খাঁড়ির পারের স্থায়ী বাসিন্দা তাপস মন্ডল বলেন, বহু দিন আগে এই খাঁড়ির জল সেচের কাজে ব্যাবহার হত। কুমারগঞ্জ ও বালুরঘাট ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় শীতকালীন ও খরা মরসুমে চাষিরা খাঁড়ির জল দিয়ে চাষাবাদ করতো। মৎস্যজীবীরা সারা বছর মাছ ধরতো। খাঁড়ি সংলগ্ন ডাঙ্গা পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন দীর্ঘদিন খাঁড়ির সংস্কার না হওয়ায় এবং খাঁড়ির দুই পাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের দাপটে ক্রমশ খাঁড়ি মজে গিয়েছে। বালুরঘাটে খাঁড়ির বেহাল দশা প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) বালুরঘাট এরিয়া সম্পাদক অনিমেষ চক্রবর্তী বলেন, আত্রেয়ী খাঁড়ির জমি উদ্ধারে বামফ্রন্ট গতভাবে আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও বালুরঘাট পৌরসভাতে বিক্ষোভ আন্দোলন করে ডেপুটেশন দিয়েছি। তিনি বলেন, অবৈধ দখলদারির বহু তথ্য তুলে দিলেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পৌরসভা বা ব্লক প্রশাসন। তিনি বলেন, খাঁড়িতে অবৈধ কংক্রিটের গার্ড ওয়াল তৈরি করে বহু বিল্ডিং বানানো হয়েছে। জলাশয়ে মাটি ফেলে ভরাট করে খাঁড়ি ক্রমশ ছোট হয়ে যাচ্ছে। খাঁড়ির নাব্যতাও  ক্রমশ কমে যাচ্ছে। ধংস হচ্ছে স্থানীয়  পরিবেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য। কিন্তু খাঁড়িটিকে বাঁচানোর কোন উদ্দেগ নেয়নি বর্তমান প্রশাসন বা পৌরসভা।

 

Comments :0

Login to leave a comment