Bomb Defuse

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা নিষ্ক্রিয় হল ঝাড়গ্রামে

রাজ্য

১০ বছর আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি। নষ্ট করা হল মাটির নীচ থেকে উদ্ধার হওয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যাবহৃত বোমার সেল। সুবর্ণরেখার চরে ১৫ থেকে ২০ ফুট গর্ত খুঁড়ে চারদিকে ১০ থেকে ১৫ ফুট বালির বস্তার দেওয়াল তুলে বোম স্কোয়ার্ডের অভিজ্ঞ টীম দিয়ে সেই কাজ করা হয়। কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। 
গত ১০ বছর আগে এমনই ঘটনার স্বাক্ষী ছিলেন গোপীবল্লভপুর থানার ভুলনপুর মৌজার মানুষ। তার পুনরাবৃত্তি ঘটনা ঘটে গত ২৯ জুলাই। জানা গেছে চাষ জমির মাটি তুলতে গিয়ে উদ্ধার হয়েছিলো একটি বড় আকারের সেল। এর আগেও এই সেল উদ্ধার হওয়ার ঘটনাতে মানুষ সতর্ক হয়ে ওঠেন। গ্রামের মানুষ গোপীবল্লভপুর থানায় খবর দেন। গ্রামের মানুষ সুসেন সাউ, সুদীপ খাঁড়া, দীপক মাহাত’রা বলেন, চাষের জমির মাটি খুড়ে মাটি তোলার কাজ চলছিল। হঠাৎ একটা শব্দ হয়। তারপর আর কোদাল না চালিয়ে শাবল দিয়ে আস্তে আস্তে মাটি আলগা করলে গ্যাস সিলিন্ডারের থেকে বড় বেলুরের আকারের মতো একটি ধাতব বস্তু দেখতে পাওয়া যাব। সেটি উপর তুলে রেখে দেন তারা। খবর দেন পুলিশে। খবর পেয়ে সেই দিনই গোপীবল্লভপুর থানার পুলিশ এসে এলাকা টি ঘিরে দেন। সাধারণ মানুষকে দ্রুত নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে দেওয়া হয়। বোম্ব স্কোয়ার্ডে বিষয়টি জানান ঝাড়গ্রাম জেলা প্রসাশন।


 

জানা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ঝাড়গ্রামের বালিভাসাতে যুদ্ধ বিমান নামার জন্য তৈরি হয়েছিল রানওয়ে। সেই সময় বিভিন্ন যুদ্ধ বিমান ওজন কমানোর জন্য এই এলাকায় বোমা নামিয়ে যেত। এয়ারফোর্স আধিকারীকদের অনুমান এটা সেরকমই কোনও বোমা হতে পারে। গত কয়েক দিন ধরে চুড়ান্ত প্রস্তুতি চালিয়ে উদ্ধার হওয়া ওই বোমার সেল শুক্রবার দুপুরে সুবর্ণরেখার নদীর চরে নষ্ট করা হয়। প্রায় এক নাগাড়ে ১২-১৪ মিনিট ধরে বিস্ফোরণ হয়। 


ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ ও গোপীবল্লভপুর থানার আধিকারিক এবং বোম্ব স্কোয়াডের উপস্থিতিতে গোপীবল্লভপুর থানার ৪ নম্বর সারিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুলনপুর মৌজায় সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী একটি বিস্তির্ণ ফাঁকা এলাকায় এয়ারফোর্স আধিকারীকদের তত্বাবধামে ফাটানো হয় বোমাটি। ছিলেন এসডিপিও গোপীবল্লভপুর পারভেজ সারফারাজ, গোপীবল্লভপুর থানার আইসি কার্তিক চন্দ্র রায় প্রমুখ।

Comments :0

Login to leave a comment