ভাঙা নদী বাঁধ মেরামত না হওয়ায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় জলের তলায় আবারও ন’শোর বেশি মৌজা। কার্তিক মাসেও বন্যা। নদী বাঁধ মেরামত না হওয়ায় শিলাবতী, কাঁসাই নদীর জল ঢুকে পড়েছে। অন্যদিকে দাসপুর ও কেশপুর ব্লকে যথাক্রমে শিলাবতী, পারাং, বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে নতুন করে নদী বাঁধে হানা পড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। ধানের জমিও জলের তলায়।
গত এক মাস আগে জেলার ৪২টি স্থানে কাঁসাই, শিলাবতী নদী পাড়ে হানা পড়ায় জেলায় ১২০০ অধিক মৌজা জলের তলায় চলে গিয়েছিলো। সেই জমা জল সব জায়গায় শুকনো হওয়ার আগেই আবারো বন্যা হলো ভাঙা বাঁধ দিয়ে জল ঢোকায়। এক মাস সময় পার হলেও ভাঙা বাঁধ মেরামত করার জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ না হওয়ার কারণেই পশ্চিম মেদিনীপুরে ফের অসময়ের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দাসপুর ও কেশপুর ব্লকে শিলাবতী, পারাং, বুড়িগঙ্গা নদী পাড়ের ৪টি স্থানে হানা পড়ায় নতুন করে কেশপুর আনন্দপুর, দাসপুরের নাড়াজোল, রায়কুন্ডু, আমডাংরা, রামদেবপুর এমন একাধিক মৌজার ১৫০ অধিক গ্রাম জলের তলায়।
দাসপুরের নীজনেড়াজোল মৌজায় শিলাবতী নদী পাড়ের ফাটল মেরামত না হওয়ায় সেই স্থানে রবিবার সন্ধ্যার মুখে হানা পড়ে। নদী পাড়ে বসবাসকারী ঘরবাড়িও জলের স্রোতে ভেঙে পড়ে এবং আসবাব সহ ভাঙা ঘরের অংশ জলের স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। সেই সাথে দাসপুরের রায়কুন্ডু মৌজায় বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে হানা পড়ে। সেই হানায় গাছপালা সহ ঘরবাড়িও ভেঙে জলে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। নদীর জল হুহু করে প্রবেশ করায় রায়কুন্ডু, দানিকলা, পুড়শুড়া,কাটা দরজা সহ রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। বহু মানুষ নদী বাঁধে এসে আশ্রয় নেয়। প্রসাশন নির্বিকার। যে হারে জলের স্রোত বইছে আজ রাতের মধ্যে বহু এলাকা জলের তলায় চলে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
Paschim Medinipur
ভাঙল শিলাবতী নদীর পাড়, স্রোতে ভেসে গেল ঘরবাড়ি
×
Comments :0