কেরালায় কাজ করতে গিয়েছিলেন মালদহের যুবক নাসিরুদ্দন। দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি। মর্মান্তিক এই খবর পৌঁছায় রতুয়া-১ ব্লকের চাঁদমণি ১ অঞ্চলের মালোপাড়া গ্রামে পরিবারের কাছে। পাশে থাকেনি প্রশাসন। নিহত শ্রমিকের মরদেহ ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিল সিআইটিইউ।
কেরালার কোট্টায়াম জেলার পাইপারে দুর্ঘটনায় মারা যান নাসিরুদ্দিন। খবর পেয়ে কেরালার সিআইটিইউ নেতা জোসেফ ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সংগঠনের মালদহ জেলার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর কেরালার শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় মরদেহ বিমানে কেরালা থেকে কলকাতায় পৌঁছায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ। সেখান থেকে শুক্রবার সকালে তাঁর মরদেহ গ্রামে আনা হয়।
রাজ্যে কাজ না কাজের খোঁজে ভিন জেলায় যান মালদহের প্রচুর শ্রমিক। এঁদের মধ্যে কারও কারও মরদেহ পৌঁছায় গ্রামে। সম্প্রতি করোনার সময় বাড়ি ফেরার পথে বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু হয়। সিআইটিইউ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল দেখি যায়নি। সিআইটিইউ-র মালদহ জেলা কমিটি পরিযায়ী শ্রমিকদের সহায়তা করার জন্য রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানায়।
সিআইটিইউ জানিয়েছে, প্রশাসনের থেকে কোনও সহায়তা পাওয়া যায়নি। যদিও খেলা-মেলা-মোচ্ছবের বেলায় কোনও অর্থের অভাব হয় না রাজ্য সরকারের।
শুক্রবার সকালে মরদেহ গ্রাম মালোপাড়ায় এসে পৌঁছায়। কেরালা থেকে তার সঙ্গে আসেন আলমগীর নামে এক পরিয়ায়ী শ্রমিক। সিআইটিইউ-র জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহা, পরিযায়ী শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক কামাল সেখ, সিআইটিইউ-র ব্লক সভাপতি এমদুর রহমান দায়িত্ব নেন পুরো প্রক্রিয়ার। এদিন গ্রামেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর শেষকৃত্য হয়।
সিআইটিইউ-র জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহা পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি পরিবারের পাশে থেকে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দেন। প্রয়াত পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ীতে স্ত্রী ছাড়াও দুটি ছোট কন্যা সন্তান রয়েছে।
দেবজ্যোতি সিনহা বলেন, ‘‘যে পরিযায়ী শ্রমিকরা বাইরে কাজে যান তাঁদের নাম নথিভুক্ত করার দাবি করছে সিআইটিইউ। এঁদের জন্য পরিযায়ী কল্যাণ বোর্ড গঠন করতে হবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য ট্রেনে দুটি বগিতে আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।’’
Comments :0