SSC Salim

চুরি ঢাকতে তালিকা বের হচ্ছে না, মিথ্যাচার চলছে, এসএসসি প্রসঙ্গে সেলিম

রাজ্য

মঙ্গলবার এসএসসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ।

তালিকা দিলেই বের হবে কাদের থেকে তৃণমূল টাকা নিয়েছিল। তা’হলে ব্রাত্য বসু বা মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি বিপদ হবে শুভেন্দু অধিকারীরও। তালিকা বের করছে না চুরিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায়।
এসএসসি দুর্নীতি বিক্ষোভের প্রশ্নে এই মন্তব্য করেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, আমরা চাই শিক্ষাকে বাঁচাতে হবে। শিক্ষকদের বাঁচাতে হবে। তার জন্য যৌথ আন্দোলন করতে হবে। শিক্ষকদের যাতে আর ধোঁকা দিতে না পারে সরকার তা দেখতে হবে। 
তিনি বলেছেন, ক্যামাক স্ট্রিটে এই চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল। পরে বিক্ষোভও হয়েছিল। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’র কর্মী সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কথাতেও টাকা নেওয়া ধরা পড়েছিল। কিন্তু সেই কোম্পানিতে তল্লাশি করেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা। তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপি-ও মিথ্যা বলছে।  
এদিন কলকাতায় মুজফফ্‌র আহমদ ভবনে সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবির সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সেলিম। বেবিও বলেছেন, রাজ্যের সরকার চরম দুর্নীতিগ্রস্ত। শিক্ষকরা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীকে হত্যার পর বিক্ষোভ সারা দেশ দেখেছে। তৃণমূল সরকারের কুকর্ম মানুষ নিশ্চিতভাবেই বুঝবেন।
সেলিম বলেছেন, ভয়াবহ অবস্থা রাজ্যে। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের আন্দোলনের পাশে প্রথম দিন থেকে ছিলাম। সরকারের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তা ধরা পড়ে গিয়েছে। তৃণমূলের দুর্নীতির ফল ভুগতে হচ্ছে শিক্ষকদের। শিক্ষাকর্মীদেরও কাজ গিয়েছে দুর্নীতির কারণে। 
শিক্ষক-ছাত্র-যুব সংগঠনগুলিকে বিক্ষোভরতদের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানান সেলিম। 
তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন যোগ্য অযোগ্য তালিকা দেবেন। এখন কমিশন বলছে কাউন্সেলিংয়ের পর্ব ভাগ করে স্কুলে কারা যাবেন ঠিক হবে। আন্দোলনকে ভাঙতে চাইছে সরকার।
এদিনই মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুরে দাবি করেন কলকাতায় থাকলে এক মিনিটে সমস্যার সমাধান করে দিতেন! এক প্রশ্নে সেলিম বলেন, ২০১৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সমস্যার সমাধান করতে পারলেন না। এখন দাবি করছেন এক মিনিটে সমস্যার সমাধান করে দেবেন!  অতি চালাকির নমুনা এসব। আমরা বলব, মিথ্যাচারে বিশ্বাস করবেন না। উনি নিজেই সমস্যা। উনি কী করে সমস্যার সমাধান করবেন? 
সেলিম বলেন, আসলে মিথ্যাচার করছে। আন্দোলনকারীরাই বলছেন যে মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যাবাদী। উনি পুলিশ লেলিয়ে দিচ্ছেন। নিজের দুর্নীতিকে দায়ী না করে অন্যকে দায়ী করছেন। বিচার চাওয়াকে দায়ী করছেন। টাকা খেয়েছিল কে? ওএমআর শিট পুড়িয়ে দিয়েছিল কে? কমিশন কার নির্দেশে গঠিত হয়েছে? শিক্ষামন্ত্রী কে ঠিক করেছে? এখনও তালিকা বের হচ্ছে না কার নির্দেশে? দায়ী মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। 
সেলিম বলেন, ন্যূনতম লজ্জা থাকলে এরপর পদ ছাড়তেন মুখ্যমন্ত্রী।

Comments :0

Login to leave a comment