Md Salim on Communalism

সব ধরনের সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে বরাবর লড়ে সিপিআই(এম), বললেন সেলিম

রাজ্য

ছবি সংগ্রহ থেকে।

সংখ্যাগুরুর সাম্প্রদায়িকতাকে কাজে লাগিয়ে আরএসএস দেশে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কায়েম করতে চাইছে। এই আশু বিপদের মোকাবিলা করতে হবে। পাশাপাশি, সংখ্যালঘুর সাম্প্রদায়িকতার বিপদ সম্পর্কেও সতর্ক থাকতে হবে। সিবিআই(এম) বরাবর সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু, দু’ধনের সাম্প্রদায়িকতাবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে।
শুক্রবার মুজফ্‌ফর আহমদ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নে একথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। 
এক প্রশ্নে তিনি বলেন যে আরএসএস এবং সঙ্ঘ পরিবার দেশে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র বানাতে চায়। তার চরিত্র সামনে আসছে। বিদেশনীতি ব্যর্থ হচ্ছে। দেশের অপমান হচ্ছে। আমেরিকা হাতকড়া পরিয়ে অভিবাসী ভারতীয়দের ফেরাচ্ছে। অবৈধ অভিবাসী কথাটা বিজেপি-ই বলে প্রায়ই। এখন সে কথা বলেই ভারতীয়দের ফেরত পাঠিয়েছে আমেরিকা। বিজেপি বাদে বাকি সকলের সরব হওয়া উচিত। 
মোদী আমেরিকায় গেছেন। প্রথমে তো এ ব্যাপারেই প্রতিবাদ জানানো উচিত ছিল।
সিপিআই(এম)’র আসন্ন ২৪তম পার্টি কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রস্তাব প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, যে কোনও রকমের সাম্প্রদায়িকতা, সংখ্যাগুরুর বা সংখ্যালঘুর, কমিউনিস্ট পার্টি তার বিরোধী। এই অবস্থান বরাবরের, আজকে নতুন নয়। ধর্ম নিয়ে যারা রাজনীতি করে আমরা তার বিরুদ্ধে, সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু, উভয়  সাম্প্রদায়িকতার বিরোধী সিপিআই(এম)। 
সেলিম মনে করিয়ে দেন যে সিপিআই(এম)’র পার্টি কর্মসূচিতে স্পষ্ট করে বলা রয়েছে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চালিত আরএসএস’র রাজনৈতিক দল বিজেপি। ফলে বিজেপি  অন্য দলের চেয়ে আলাদা। 
নন্দীগ্রামে দশ টি খুনের মামলা প্রত্যাহার করতে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল সরকার। সে প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রত্যেকটি অপরাধের বিচার হতে হয়।  
নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক স্বার্থে বিজেপি-তৃণমূল মাওবাদীদের নিয়ে এসে জামাত জমিয়ত সব একসঙ্গে মিলে রক্ত নিয়ে হোলি খেলেছিল, রাজনীতি করেছিল। তিনি বলেন, তৃণমূলের প্রত্যক্ষ মদতে তৃণমূলীদের দ্বারা মাওবাদীদের সাহায্য নিয়ে দশজন সিপিআই(এম) কর্মীকে খুন করা হয়েছিল। তখন বামফ্রন্ট সরকার। প্রত্যেকটি খুনের মামলা হয়েছিল। রাজ্য সরকার প্রতিটি মামলা প্রত্যাহার করার কথা বলল হাইকোর্টে। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং শব্বর রশিদিকে ধন্যবাদ, তাঁরা এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁরা রায় দিয়েছেন, এভাবে মামলা তোলা যায় না। 
জঙ্গলমহলে ওই সময় একশোর বেশি সিপিআই(এম) কর্মীকে খুন করা হয়েছিল। মমতা ব্যানার্জি প্রতিটি খুনীকে পুরস্কৃত করেছেন। যে সব ঘর ভেসে গেল, ভেস্তে গেল, তাদের পাশে দাঁড়াননি, যে খুন হলো তার বিচার করেননি। এই মামলাগুলো কোথাও শুনানি হচ্ছে, কোথাও হচ্ছে না, কোথাও মামলা দায়ের হয়নি, কোথাও মামলা তুলে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা আদালতেও যাবো যাতে প্রতিটি হত্যার বিচার হয়। আদালতের শুনানিতেই উঠে আসবে সে সময় কী হয়েছিল। 
তৃণমূল বিধানসভায় একলা লড়বে বলে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হয় সেলিমকে। তিনি বলেন,
একা লড়বে বলছে। আগে তো লড়ুক, তারপর দেখা যাবে একা না দোকা। পুলিশ দিয়ে, দুষ্কৃতী দিয়ে ভোট করা হয় ডায়মন্ড হারবারে। সাহস থাকলে বিজেপি বা তৃণমূলের বিধায়ক সাংসদরা নিজের কেন্দ্রে পায়ে হেঁটে একলা ঘুরুন। তা’হলে বোঝা যাবে জনতা সঙ্গে আছে কিনা।

Comments :0

Login to leave a comment