EC SALIM SUJAN

পঞ্চম দফা যেন শান্তিতে হয়, কমিশনে মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী

রাজ্য লোকসভা ২০২৪

মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করার পর মহম্মদ সেলিম ও সুজন চক্রবর্তী।

২০ মে পঞ্চম দফার ভোট। প্রথম তিন দফা শান্তিপূর্ণ হলেও চতুর্থ দফায় তা হয়নি। পঞ্চম দফায় শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করার দাবিতে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনে গেলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
এদিন কলকাতায় মুজফ্‌ফর আহমদ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনও করেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেছি আমরা। প্রথম তিন দফায় অবাধে, রক্তপাতহীন ভোট হয়েছে। দেশের তুলনায় ভোটদানের হারও বেশি ছিল। এমনকি মুর্শিদাবাদেও বড় ঘটনা নেই। কিন্তু চতুর্থ পর্যায়ে নানা ঘটনা দেখা গিয়েছে। বুথ জ্যাম, ভুয়ো ভোটার, ধরা পড়েছে কৃষ্ণনগরে। ভয় দেখানো হয়েছে ভোটদাতাদের।’’
সেলিম জানান যে নির্বাচন কমিশনে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ জানানো হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। তিনি স্বীকারও করেছেন যে গোলমাল হয়েছে। তিনি বলেছেন যে চতুর্থদফায় কমিশনের লোকবল কম ছিল। অন্য রাজ্য থেকে সব বাহিনী আসেনি।’’
সেলিম বলেন, ‘‘আমরা বলেছি জনতাকে স্বস্তি এবং নিরাপত্তা বোধ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী ভূমিকা নিক এখনই। দুষ্কৃতীদের প্রতিরোধমূলক গ্রেপ্তার করার দাবিও জানিয়েছি। পঞ্চায়েতে লুট কোথায় হয়েছে, কারা জড়িত, তা ম্যাপ করে আমরা দিয়েছি। সন্দেশখালির মতো কোথায় কোথায় চোর-জোচ্চোররা মুক্তাঞ্চল বানিয়েছে, তার তালিকাও আমরা দিয়েছি।’’ 
সেলিম বলেন, ‘‘আন্তঃ জেলা সীমানায় সন্ত্রাস বেশি। এখানে বিশেষ বন্দোবস্ত করা দরকার, ‘প্রিভেনটিভ অ্যারেস্ট’ প্রয়োজন। নির্দিষ্ট আরও অভিযোগ দেওয়া হবে কমিশনে।’’
সেলিম বলেছেন যে জনতা ভোট দিতে চাইছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘মানুষ সরব হচ্ছে, সন্ত্রাস ভাঙছে, বাম-কংগ্রেসের পক্ষে মানুষের ঢল নেমেছে। দাবদাহের মধ্যে রোড-শো বা মিছিলে একেক ঘন্টার মধ্যে দশ বারোটি সভা হচ্ছে, হাজার হাজার মানুষ আসছেন। নতুন মানুষ এগিয়ে আসছেন। যাঁরা এখনও সন্দিহান যে তাঁরা ঠিকমতো ভোট দিতে পারবেন কিনা, নিরাপত্তা দিতে হবে তাঁদের।’’
বাম এবং কংগ্রেসের প্রস্তুতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কর্মীবাহিনীও সতেজ, সক্রিয় রয়েছে। হাওড়ার বাকড়া শ্রীরামপুর কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। সেখানে সিপিআই(এম)’র পতাকা খুলে নেওয়া হয়েছিল। আমি নিজে সকালে গিয়েছিলাম। অভিযোগ জানিয়েছি। পতাকা আবার লাগানো হয়েছে।’’
চতুর্থ দফা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কেতুগ্রামে তৃণমূল তৃণমূলকে খুন করেছে। আবার অনেক জায়গায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ বলা হচ্ছে। মিথ্যা প্রচার, ফেক ভিডিও  চলছে। এটিই বিজেপি তৃণমূলের ‘হলমার্ক’। উলটোদিকে বামপন্থীরা সৃজনশীল প্রচার করছে। মানুষের রুটি রুজি, গণতন্ত্র, সংবিধান বাঁচানোর কথা বলছে।’’ 
এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, ‘‘কল্যাণ ব্যানার্জির মতো বরিষ্ঠ সাংসদ যেভাবে শ্রীরামপুরে দীপ্সিতাকে যেভাবে আক্রমণ করছেন, ব্যক্তি আক্রমণ কুরুচিকর আক্রমণ করছেন, তৃণমূলের সংস্কৃতি বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ জানাবো তৃণমূলের বহু সমর্থককেও, তাঁরা প্রতিবাদ করেছেন।’’

Comments :0

Login to leave a comment