MODI CONGRESS

আচার সঙ্গে পরিকাঠামো, প্রবেশিকাও কংগ্রেসের প্রচারে

জাতীয়

নরেন্দ্র মোদী সরকারের শাসনে ঘরে আচার তৈরির খরচাও বেড়ে গিয়েছে লাফিয়ে। দামের জ্বালা বোঝাতে ‘ঘর কা আচার ভি হুয়া মেহঙ্গা’ স্লোগান দিল কংগ্রেস। 
রবিবার সোশাল মিডিয়ায় পরপর পোস্টে কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে পরিকাঠামোর কাজে গলদ নিয়েও। জুনের শেষ রবিবারে ‘মন কী বাত’ ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মেডিক্যাল নিট বা ইউজিসি-নেট ঘিরে বেনিয়ম, দুর্নীতি প্রসঙ্গে গোটা ভাষণে প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন সে প্রশ্নও তুলেছে কংগ্রেস। 
অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনেই প্রবেশিকা বিপর্যয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী সাংসদরা। কিন্তু বিরোধীদের মুলতবি প্রস্তাবের ওপর আলোচনার নোটিশ অগ্রাহ্য করা হয়েছে সংসদের দুই কক্ষেই। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লোকসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর মাইক। একই পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন কংগ্রেস সভাপতি এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। বিরোধীরা বলেছেন, জনতার রায়কে পুরোপুরি উপেক্ষাই করছেন প্রধানমন্ত্রী। 
ইউপিএ সরকারের শেষ বছর, ২০১৪’র দামের সঙ্গে ২০২৪’র তুলনা করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের হিসেব, ২০১৪-তে কাঁচা আমের দাম ছিল ২৫ টাকা কেজি। ২০২৪-এ কাঁচা আমের দাম বেড়ে কেজি প্রতি ৫০ টাকা হয়েছে। তেমনি সর্ষের তেলের দাম কেজিতে ৬৭ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১৫০ টাকা, মেথি দানা ৪০ টাকা কেজি থেকে এখন ১৬০ টাকা, কালো জিরের দাম ৪৪ টাকা কেজি থেকে বেড়ে এখন ৩০০ টাকা। 
আমের আচার তৈরির আরও উপকরণের দাম হিসেবে এনেছে কংগ্রেস। নুনের দামও এই সময়েই ১০ টাকা কেজি থেকে এখন ২৮ টাকা, শুকনো লঙ্কার দাম ২১০ টাকা থেকে দ্বিগুনের বেশি ৫০০ টাকা হয়েছে প্রতি কেজি-তে। 
পরিকাঠামো ক্ষেত্রে মোদী সময়ের বিশেষত্ব হলো সরকারি মালিকানাধীন ক্ষেত্র বেসরকারি হাতে ছেড়ে দেওয়া। বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে রাস্তা নির্মাণ, সর্বত্র এই মডল চালু রয়েছে। দিল্লি বিমানবন্দরের ছাদ ভেঙেছে দমকা হাওয়ায়, জব্বলপুর বিমানবন্দরে ছাউনি ভেঙেছে। দিন কয়েক আগেই সামনে এসেছে যে মুম্বাইয়ের অটল সেতু ফাটলে ভরে রয়েছে। মাস ছয়েক আগে উদ্বোধন হয়েছিল সেতুর। মোদীর ছবি দিয়ে প্রচারও চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি। কংগ্রেস মনে করিয়েছে দিল্লির প্রগতি ময়দানে সুড়ঙ্গে জমে থাকা জলের ছবি। গুজরাটে মোরবি ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনা উল্লেখ করে কংগ্রেস বলেছে বিজেপি আর দুর্নীতি সমার্থক হয়ে গিয়েছে। 

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের জেরে স্টেট ব্যাঙ্ককে প্রকাশ করতে হয় নির্বাচনী বন্ডের তথ্য। কোন দল কোন সংস্থার থেকে কত টাকা পেয়েছে, মোদী সরকারের নানা বাধা সত্ত্বেও, বেরিয়ে পড়েছিল ভোটের আগে। ধরা পড়ে যে বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থা বিজেপি’র নির্বাচনী হতবিলে অর্থ দিয়ে পেয়েছে সরকারি প্রকল্পের বরাত। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি বিরুদ্ধে নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। দুর্নীতিকে বৈধ করার নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল সিপিআই(এম)।

Comments :0

Login to leave a comment