GYANVAPI JUDGE LOKPAL

মসজিদে পুজোর অনুমতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপাল পদ বিচারপতির

জাতীয়

অবসরের ঠিক আগে দিয়েছিলেন জ্ঞানবাপী মসজিদের কুঠুরিতে পুজোর অনুমতি। মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিরোধিতা খারিজ করে দিয়েছিলেন। অবসর নেওয়ার এক মাসের মধ্যেই সেই বিচারপতি অজয় কুমার বিশ্বেসকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘লোকপাল’ পদে বসালো বিজেপি। 
বারাণসীর আদালতে বিচারপতি ছিলেন বিশ্বেস। জ্ঞানবাপী মসজিদে মন্দিরের অবশেষ খোঁজার জন্য সমীক্ষার নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকার দ্রুত পুরস্কারও দিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে।
আরএসএস এবং বিজেপি’র সঙ্গে পুরো হিন্দুত্ববাদী শিবিরের লক্ষ্য বারাণসীর এই মসজিদ মথুরার ঈদগাহ ঘিরেও নতুন করে ধর্মীয় মেরুকরণ তৈরি করা। 
বিচারপতিদের সন্তোষজনক রায় হলে অবসরের পর পুরস্কারের নীতি যদিও বিজেপি’র ক্ষেত্রে নতুন নয়। ভেঙে ফেলা বাবরি মসজিদের জমিতে রামমন্দির তৈরির অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সে সময়ে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে অবসরের পর রাজ্যসভার সাংসদ করেছিল বিজেপি। 
বিশ্বেসকে লক্ষ্ণৌয়ের ডঃ শকুন্তলা মিশ্র ন্যাশনাল রিহ্যাবিলিটেশন ইউনিভার্সিটির ‘লোকপাল’ পদে নিয়োগ করা হয়েছে। শারীরিক অক্ষমতা সম্পন্ন রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দেয় এই প্রতিষ্ঠান। তবে পরিচালন ভার রাজ্যের ওপর। দিন কয়েক আগে উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল এবং গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দী বেন প্যাটেল একটি নির্দেশিকা জারি করেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি’র গাইডলাইন অনুযায়ী রাজ্যের ১৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপাল নিয়োগের নির্দেশ দেন তিনি। তারপরই যে যে নিয়োগ হয় তার মধ্যে রয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিশ্বেসের নামও। 
বারাণসীর জেলা ও নগর দায়রা আদালতের বিচারপতি পদে আসীন থেকে গত জানুয়ারিতে মসজিদের ভেতর হিন্দুদের পুজো করার অনুমতি দেন বিশ্বেস। সঙ্ঘ পরিবারের অনুগামী বাহিনী আদালতে এই আবেদন জানিয়েছিল। তার আগে ভারতীয় পরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা এএসআই বেশ কয়েকবার সময়সীমা পিছানোর পর রিপোর্ট দাখিল করে আদালতে। এএসআই’কেই সমীক্ষার দায়িত্ব দিয়েছিল আদালত। সঙ্ঘ পরিবারের দাবি, রিপোর্টে মসজিদ চত্বরে অতীতে হিন্দু মন্দির ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। মসজিদ কমিটি এলাহাবাদ হাইকোর্টে আপত্তি জানালেও বিশ্বেসের নির্দশ বহাল রয়েছে। 
সুপ্রিম কোর্ট এই বিবাদের শুনানিতে রাজি হয়েছে সম্প্রতি। রাজ্যের সহকারী লোকপাল পদে এর আগে নিয়োগ করা হয়েছিল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার যাদব। এই বিচারপতিই ২০২০’তে রায়ে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার দায় থেকে রেহাই দিয়েছিলেন লালকৃষ্ণ আদবানী, মুরলি মনোহর যোশী, উমা ভারতীর মতো বিজেপি’র শীর্ষ নেতানেত্রীদের।

Comments :0

Login to leave a comment