প্রযুক্তি পুরনো অনেক অভ্যাসই বদলে দিচ্ছে। পছন্দের দোকান থেকে পছন্দের খাবার খেতে ঘরের বাইরে বেরতেই হবে, এমন কোনও কথা নেই। ঠিক তেমনি খাবার বিক্রেতারা যখন খাবার ঘরে ঘরে পৌঁছানোর কথা ভাবছেন তখনই মাথায় আসছে বিভিন্ন ওয়েব ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মের নাম। তা’হলে ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মের ওপরই কী নির্ভরশীলতা বাড়ছে খাবারের বিভিন্ন দোকানের?
আরেকদিকও আছে। যিনি পিঠে ব্যাগ নিয়ে খাবার পৌঁছে দিতে দৌড়াচ্ছেন, তাঁকে কিন্তু সবসময় খেয়াল রাখতে হচ্ছে সময়ের দিকে। দেরি হলে কমবে কমিশন, মানে কমবে রোজগার।
সুইগি বা জোমাটোর মতো সংস্থার নিজেদের একটি দোকানও নেই। তাদের রয়েছে তথ্য প্রযুক্তিতে সংযোগ পরিকাঠামো- ওয়েব প্ল্যাটফর্ম। ক্রেতার কাছে এই সংস্থাগুলি নিজেদের জানান দেয় বিজ্ঞাপনে। ক্রেতারা ফোন করেন সংস্থার দেওয়া নম্বরে। আর সংস্থার যোগাযোগে থাকে মাঝারি থেকে বড় খাবারের নানা দোকান। অনলাইন সংযোগেই চলে হোম ডেলিভারির এই পরিষেবা। মাঝে থাকেন ডেলিভারি কর্মীরাও। বাইকে বা সাইকেলে তাঁরাই সময়ে অসময়ে খাবার পৌঁছে দেন বাড়ি বাড়ি।
কলকাতার গায়ে গড়িয়া স্টেশনের আশেপাশে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ মালিকদের কেউ কেউ মনে করছেন কিছুটা হলেও অনলাইন সংযোগের ফলে বিক্রি বেড়েছে।তাঁদের বক্তব্য, অনলাইনে খাবারের অর্ডার দিলে খরচ খানিকটা বেশি ক্রেতার। তবে দোকানে এসে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না বলে অনেকেই সে টাকা দিয়ে দিচ্ছেন।
যারা দোকানে খাবার খেতে আসছে তাদের শুধুমাত্র খাবারের দামটাই দিতে হচ্ছে। যাঁরা অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার করছে তাদেরকে খাবারের দামের তুলনায় একটু হলেও বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। দোকানদাররা বলছেন, অর্ডার করা খাবারের সঙ্গে তাঁরা প্যাকেজিং এবং কর বাবদমাশুল যুক্ত করে ডেলিভারি কর্মীদের দিয়ে দিচ্ছেন। অনলাইন ডেলিভারি সংস্থাখাবার পৌঁছে দেওয়ার মাশুল যুক্ত করে গ্রাহকদের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে।
বেলিসিয়াস দোকানের রাহুল মোদক জানিয়েছে যে তাদের দোকানের ১০০ জন ক্রেতার মধ্যে ২০ জন অনলাইনে খাবার নেন।তবে অনলাইন ডেলিভারি সংস্থা তাঁদের থেকে কোনও টাকা নিচ্ছে না। কিছু কাগজপত্র দেখাতে হচ্ছে। তবে বিধাননগর স্টেশনের কাছে এ জায়গাতেই এমন দোকানের সঙ্গেও কথা হয়েছে যারা অনলাইন ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মের সংযোগে নেই। নাম না জানালেও এমন দোকানের মালিকরা জানাচ্ছেন আপাতত তাঁদের প্রয়োজন পড়ছে না।
একজন সাইকেল চালক ফুড ডেলিভারি বয় অরিজিৎ সরকার এর সাথে কথা বলে জানা গেছে প্রত্যেকটা অর্ডার পিছু সংস্থা তাদের কে ১৫ টাকা করে দিয়ে থাকে। তাঁদের সেই অর্ডার একটি সময়সীমার মধ্যে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে হয়। যদি তারা সময়সীমার অধিক সময় নিয়ে নেয় তাহলে তাদের থেকে কিছু টাকা সংস্থা কেটে নেয়।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন তারা এই সংস্থার উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন না, শুধুমাত্র অনলাইনের মাধ্যমে তাদের সেল একটু হলেও বাড়ছে।
Comments :0