government formation ex-judges

সরকার গঠন যেন হয় সংবিধান মেনে, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বিচারপতিদের

জাতীয়

নির্ণায়ক গরিষ্ঠতা না থাকলে যেন সংবিধান অনুযায়ী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চালানো হয়। সরকারে আসীন রাজনৈতিক জোট হেরে গেলে ক্ষমতা হস্তান্তর যেন বাধার মুখে না পড়ে। 
সোমবার খোলা চিঠিতে এই মর্মে আবেদন জানালেন বিভিন্ন হাইকোর্টের ৭ প্রাক্তন বিচারপতি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের পাসাপাশি তাঁরা চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কেও। 
চিঠিতে এই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা লিখেছেন, ‘‘আমরা আশা রাখব রাষ্ট্রপতি রীতিকে প্রাধান্য দিয়ে ভোটের আগে গড়া সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক জোটকেই গরিষ্ঠতা প্রমাণের সুযোগ দেবেন প্রথমে।’’
বিচারপতিদের আশঙ্কা, ভোটে কোনও জোটেরই নির্ণায়ক গরিষ্ঠতা না থাকলে সাংসদ কেনাবেচা শুরু হবে। বিজেপি-কে ঘিরেই যে তাঁদের শঙ্কা, গোপন করেননি বিচারপতিরা। 
জিএম আকবর আলি, অরুণা জগদীশন, ডি হরিপরান্থমন, পিআর শিবকুমার, সিটি সেলভম, এস বিমলা এবং অঞ্জনা প্রকাশ পাটিয়েছেন এই চিঠি।
তাঁরা লিখেছেন, ‘‘কেন্দ্রের সরকারে আসীন এই শক্তি প্রয়োজনীয় গরিষ্ঠতা না পেলে নতুন সরকার গঠন এবং ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রক্রিয়ায় বাধা তৈরি হতে পারে।’’
তাঁরা লিখেছেন, ‘‘আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। সংবিধানের নির্দেশ যাতে পালন করা হয় তা নিয়েই চিন্তিত। সাম্প্রতিক একাধিক ঘটনাক্রমে আমাদের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।’’
কেবল বিচারপতিরাই নন, দেশজুড়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন। সোমবারই সাংবাদিক বৈঠক করেছে কমিশন। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্বেষ ভাষণে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কমিশনেরই বিরুদ্ধে। তার ব্যাখ্যা না দিয়ে কমিশন উলটে বলেছে যে বহু অসত্য অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে যদিও বক্তব্যের ভিডিও টেপ প্রমাণ সহ পাঠানো হয়েছিল কমিশনে।
বিচারপতিরা লিখেছে, ‘‘গত কয়েক সপ্তাহে যা ঘটে চলেছে তার পরিণাম হিংসাত্মক হতে পারে। এই উদ্বেগ রয়েছে মানবাধিকার আন্দোলন এবং নাগরিক আন্দোলনে জড়িত বহু অংশের।’’
নির্বাচন কমিশন প্রথম দু’দফার চূড়ান্ত ভোটের হার জানিয়েছে দেরি করে। মোট ভোটদাতার সংখ্যা কত, তা-ও জানানো হচ্ছিল না। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে যায়। আদালত জানায় ভোটের মধ্যে নির্দেশ দেওয়া না হলেও ভোটের পর দেখা হবে। তারপর ১৭সি ফরম অনুযায়ী মোট ভোটদাতার সংখ্যা জানায় কমিশন। 
এমন কোনও প্রসঙ্গেরই ব্যাখ্যা এদিন দেননি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছিলেন যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নিজে দেড়শো জেলাশাসক এবং নির্বাচনের কাজে জড়িত আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে চাইছেন তিনি। কমিশন এদিন আশ্বাস দিতে বাধ্য হয় যে কারচুপি হবে না গণনায়। কিন্তু সেই সঙ্গে বিরোধী নেতা রমেশকে প্রমাণ দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে। সাতদিন সময় চেয়েছিলেন রমেশ, খারিজ করেছে সেই আবেদনও।

Comments :0

Login to leave a comment