কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার একমাত্র সাক্ষী মালবাহী ট্রেনের চালক মনু কুমার। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় এখনও দোষী প্রমাণিত হয়নি মালবাহী ট্রেনের সহকারী চালক। তা সত্ত্বেও সহকারী চালক মনু কুমারের সাথে তাঁর পরিবারকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনই অভিযোগ জানালেন সহকারী চালকের পরিবার। মালবাহী ট্রেনের সহকারী চালক মনু কুমার আদপে বিহারের সহরসা গ্রামের বাসিন্দা হলেও, কর্মসূত্রে শিলিগুড়ির ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যসেন কলোনি এলাকায় সস্ত্রীক ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। দীর্ঘ প্রায় আট বছর ধরে রেলে কর্মরত তিনি।
সোমবার শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের চটেরহাট ও রাঙ্গাপানি স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আগরতলা থেকে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনার পরে চারদিন কেটে গেছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছনে যে মালবাহী ট্রেন ধাক্কা মারে সেই মালবাহী ট্রেনের সহকারী চালক মনু কুমার এখন শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। ঘটনার পূর্নাঙ্গ বিবরণ সমস্ত কিছুই একমাত্র সাক্ষী হিসেবে মনু কুমারের কাছ থেকেই জানা সম্ভব। তাই নার্সিংহোমের আইসিইউ’তে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে সহকারী চালককে। যদিও রেল ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মনু কুমারের অবস্থা এখনও স্থিতিশীল হয়নি। এদিকে দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই বিহার থেকে শিলিগুড়িতে ছুটে এসেছেন মনু কুমারের বাবা মা। কিন্তু ছেলের সাথে কোনভাবেই দেখা করতে পারছেন না। মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দুই বেলা হন্যে হয়ে হাসপাতালে চক্কার কাটছেন মনু কুমারের পরিবার। ছেলেকে একবার চোখে দেখার জন্য। কিন্তু ছেলের সাথে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। মনুর বয়ান না মেলা পর্যন্ত তাঁকে কারো সাথে দেখা করতে দেওয়া হবে না বলে পরিবারকে জানানো হয়েছে।
চোখে মুখে একরাশ আতঙ্ক নিয়ে রাত কাটাচ্ছে মনু কুমারের পরিবার। কান্নায় ভেঙে পড়ে মনু কুমারের মা দ্রোপদী দেবী জানিয়েছেন, ‘‘পরিবারের একমাত্র ছেলে। ভেবেছিলাম মরেই গেছে। বরাত জোরে বেঁচে ফিরেছে আমাদের একমাত্র ছেলে। আমার ছেলে নির্দেষ। দুর্ঘটনার পরে অনেকগুলি দিন পেরিয়ে গেছে। ছেলে কেমন আছে জানতে পারছি না। তাতেই আরো উদ্বেগ বাড়ছে। দোষ তো এখনও প্রমানিত হয়নি। তবুও দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।’’
Kanchanjungha Express
তদন্তের আগেই ‘দোষী’ সাজানোর চেষ্টা, দেখা করতে বাধা, অভিযোগ সহকারী চালকের পরিবারের
×
Comments :0