পৌর পরিষেবা পুরো ভেঙে পড়েছে জলপাইগুড়ি শহরে। চড়া হারে পৌর কর বৃদ্ধি পেলেও বিশুদ্ধ পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থা নেই। বস্তিবাসীদের জীবন দুর্বিষহ। সাফাই কর্মীরা ন্যূনতম দৈনিক মজুরি থেকে বঞ্চিত।
জনজীবনের এই দাবি নিয়ে জলপাইগুড়ি পৌরসভায় বিক্ষোভ দেখালো বামফ্রন্ট এবং সহযোগী শক্তিগুলি। বামফ্রন্ট বলেছে, সামান্য বৃষ্টিতে শহরে জমা জলের সমস্যা, বিভিন্ন ওয়ার্ডের নিকাশি ব্যবস্থা উন্নয়ন, পানীয় জলের অপ্রতুলতা নিরসনে, প্রসূতি মা ও শিশু, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য পৌরসভা থেকে প্রাপ্য আদায়, বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা, বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভেঙে পড়া রাস্তাঘাট সংস্কার, আবর্জনা নিষ্কাশন, শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বন্ধ হয়ে থাকা পানীয় জলের পাম্প অবিলম্বে চালু করা, পৌর কর্মচারীদের দ্রুত স্থায়ীকরণ ও নির্দিষ্ট সময়ে বেতন প্রদান, জাতীয় সহায়তা প্রকল্পের বিভিন্ন ভাতা ও আবাস যোজনা টাকা সঠিক সময় প্রদান সহ ১২ দফা দাবি জানায়।
বিক্ষোভ সভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিআই(এম)’র জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য প্রদীপ দে, বক্তব্য রাখেন ফরওয়ার্ড ব্লক দলের পক্ষে রাজ্য নেতৃত্ব গোবিন্দ রায়, সিপিআই (এম এল)’র প্রদীপ গোস্বামী, আরএসপি’র পরিতোষ ঘোষ, সিপিআই’র রাহুল হোর, সিপিআই(এম) নেতা বিপুল সান্যাল, বামফ্রন্টের আহ্বায়ক সলিল আচার্য।
সলিল আচার্য বলেন, ‘‘জলপাইগুড়িতেও পৌরসভা দখল হয়েছিল। মানুষের রায়ে বোর্ড গঠিত হয়নি। তৃণমূল পরিচালিত এই পৌরসভা সব দিক দিয়ে ব্যর্থ। আমরা জনতার দাবি জানিয়েছি। না মানলে আরও বড় আন্দোলন হবে।’’
সময় নেওয়া হলেও স্মারকলিপি নেওয়ার জন্য ছিলেন না পৌরসভার চেয়ারম্যান। ভাইস চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি দিতে অস্বীকার করেন বামপন্থীরা। প্রতিলিপি সেঁটে দেওয়া হয় দেওয়ালে।
Comments :0