লব মুখার্জী - পানিহাটি
নতুন দেশ নতুন পশ্চিমবঙ্গ গড়ার লড়াই করার শপথ নিতে ব্রিগেডের মাঠে আসুন। শেষ কথা বলবে মানুষ, মানুষের শ্রম। বুধবার পানিহাটি উষুমপুরে এক বিরাট সমাবেশে একথা বলেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি। তিনি বলেন, বামপন্থীরা মাথার ছাদ ,খাদ্য , মজুরি,চাকরির জন্য লড়াই করে।
বিজেপি এবং তৃণমূল মিলে এমন রাজ্য তৈরি করতে চায় যাতে দেশের মধ্যে সবচেয়ে শস্তার শ্রমিক মেলে পশ্চিম বাংলা থেকে। যৌবনের ডাকে জনগনের ব্রিগেড সফল করতে , ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড চলো আহ্বান জানিয়ে পানিহাটির আগরপাড়া উষুমপুর বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গনে ডিওয়াইএফআই'র ডাকে মাঠ উপচে পড়া জনসভা হয় বুধবার। পানিহাটির কেন্দ্রীয় জনসভা ছিল এটি।
মীনাক্ষী মুখার্জি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা এবং সংগঠনের প্রাক্তন নেতা দুলাল চক্রবর্তী, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, শুভব্রত চক্রবর্তী , ডিওয়াইএফআই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি সফিকুল সর্দার এবং সংগঠনের জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য সায়ন চক্রবর্তী, সভাপতি ছিলেন দেবজ্যোতি চক্রবর্তী। মঞ্চে ছিলেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এবং জেলার প্রাক্তন ও বর্তমান ডিওয়াইএফআই নেতৃবৃন্দ।
সফিকুল সর্দার বলেন, গীতা পাঠের সমাবেশে জমায়েতের হাল আগে থেকেই টের পেয়ে নরেন্দ্র মোদী ব্রিগেডে আসেননি। যারা নিজেদের বিজেপি বিরোধী বলে নাটক করতে নেমেছে তাদের নেপথ্য ভুমিকায় ৭ জানুয়ারি ডিওয়াইএফআই'র ব্রিগেড সমাবেশের অনুমতি বাতিল করার চেষ্টা হয়েছিলো, শেষপর্যন্ত সব মহল অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশে এমন যুবকরাও যাবেন যাঁরা কোনোদিন বামপন্থীদের সমাবেশে যাননি।
ব্রিগেড সমাবেশ সফল করার সাহায্যার্থে পানিহাটির সমাবেশে মীনাক্ষী মুখার্জির হাতে অর্থ তুলে দেন স্বপন রায় ও অনুষ্মিতা পাল । সংবর্ধনা জানান অসংখ্য মানুষ ও গণসংগঠন।
মীনাক্ষী মুখার্জি জনসভাতে বলেন, সরকারের দায়িত্ব কাজ শেখানো, শিক্ষা দেওয়া কিন্তু পশ্চিম বাংলার সরকার ৮ হাজারের উপরে স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। মেধাবীদের স্থান গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বসে থাকা নয়। স্কুল কলেজ কারখানাতে আজ তাদের স্থান নেই। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আয় হচ্ছে মদ বিক্রি থেকে তাই মদের দাম শস্তা করে দিয়েছে। অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন,
ঠিকা শ্রমিক তৈরি করে অক্লান্ত পরিশ্রম করানো হচ্ছে। পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে ডোমের কাজ, স্নাতক হয়ে হাতী তাড়ানোর কাজের জন্য ইন্টারভিউ দিতে বাধ্য হচ্ছে পশ্চিম বাংলার যৌবন।
রাজ্যের জন্যে লোকসভাতে যার কথা বলার কথা, তিনি প্রকাশ্যে ঘুষ খাচ্ছেন। দেখা যাচ্ছে , পার্লামেন্টের ভিতরে, বিধানসভার ভিতরে বিজেপি আবার তিনিই বাইরে তৃণমূল।
আর্থিক নীতি এদের একটাই। এই দুই দল একসাথে কর্পোরেটদেরর হাতে সবকিছু তুলে দিতে চাইছে।
মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, সংবাদ মাধ্যমের অনেকে ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে অনেক আঁকা বাঁকা প্রশ্ন করছে কিন্তু কারখানা গুলো বন্ধ কেন, চালু কারখানার শ্রমিক সংখ্যা কমছে কেন এই প্রশ্ন করার ধক্ নেই তাদের । নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি মানা হবেনা একথা বলার ধক্ নেই মমতা ব্যানার্জি সরকারের।
তিনি বলেন, ওরা আমাদের ভয় পায় কারণ, যুবদের রক্তের তেজে বক্রেশ্বর গড়ে উঠেছিলো, ওরা আমাদের ভয় পায় কারণ , আমরা বলছি রাজা তোর কাপড় কই ?।
Comments :0