প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অযোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকার উল্লেখ করেছে সিবিআই। সিবিআই এই তদন্তে চার্জশিট দায়ের করেছে।
জানা গিয়েছে, সিবিআই তল্লাশিতে খুঁজে পেয়েছে অযোগ্য প্রার্থীদের নামের ওপর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির নির্দেশ। হাতের লেখার নমুনাও পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
২০২৩’র জুনে বিকাশ ভবনে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই।
বৃহস্পতিবারই প্রাথমিকে নিয়োগের দাবিতে বিকাশ ভবন অভিযান চালিয়েছেেন ২০২২ সালে টেট পাশ সফল পরীক্ষার্থীরা। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ছিল ৫০ হাজার নিয়োগ হবে। কিন্তু দীর্ঘ দু’বছর তাঁদের নিয়োগ হয়নি। উলটে বিকাশ ভবন অভিযান করায় আটক করা হয় প্রায় তিনশো জন চাকরিপ্রার্থীকে।
অতীতে প্রতি বছরই শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের সময়ে প্রাথমিক বা উচ্চ প্রাথমিকের মতো কোনও স্তরেই নিয়ম করে বছর বছর পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। কেবল তা-ই নয়, বারবারই অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের প্রতিবাদে আন্দোলন করতে হয়েছে সফল চাকরিপ্রার্থীদের।
আবার ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অযোগ্যদের নিয়োগের জেরে ঝুলে রয়েছেন যোগ্যরাও। তাঁরাও আন্দোলনে রয়েছেন। ৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানিও রয়েছে। আন্দোলনে নামা চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন যোগ্য অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব। সে বক্তব্যের আংশিক প্রমাণ মিলেছে ২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত তদন্তে চলা সিবিআই’র তল্লাশিতে।
কেবল তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি নয়, সব স্তর থেকে দায়ী করা হয়েছে তৃণমূল সরকারকে। সেই সঙ্গে বিচার না মেলায় প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই’র ভূমিকাও।
Partha Chatterjee CBI
স্কুল নিয়োগে যোগ্য-অযোগ্য ফারাক বোঝা সম্ভব, বলছে সিবিআই’র তথ্যও
×
Comments :0