জলপাইগুড়ি শহরের দুলাল দিঘি, হাই স্কুলের পুকুরের মতো বিভিন্ন জলাশয় ধীরে ধীরে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। জলাশয় সংস্কার করা হচ্ছে না। ‘করলা অ্যাকশন প্ল্যান’ রূপায়ন করা হচ্ছে না। জলাশয়, নদী বাঁচানোর দাবিতে সোমবার, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে, করলা নদীর পাড়েই হয়েছে সভা।
দাবি উঠেছে করলা নদীর নাব্যতা বাড়াতে হবে, করলার দূষণ রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। জলপাইগুড়ি শহরের দিনবাজারে করলা নদীর পাড়ে এই সভায় দাবি উঠেছে, প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। করলা নদীর দূষণ ঠেকাতে হবে।
বামপন্থী গণ সংগঠনসমূহ যৌথভাবে করেছে এই সভা। সিআইটিইউ, এসএফআই, ডিওয়াইএফআই, পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতি, সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি সহ অন্যান্য বামপন্থী গণ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন সভায়। সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তপন চক্রবর্তী।
ক্রমাগত পরিবেশ ধ্বংস করার কারণে হচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। ক্রমশ গলছে সমস্ত হিমবাহ, বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে।
সারা ভারত কৃষক সভার আহ্বানে প্রত্যেকটি সচেতন মানুষকে পরিবেশ বাঁচাতে একটি গাছ লাগানোর আবেদন জানানো হয়। লিফলেট দেওয়া হয় পথ চলতি মানুষকে।
সভায় বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষক নেতা শুভেন্দু সাহা,জয়দীপ মুখার্জী, বনদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী বর্ষীয়ান কর্মচারী আন্দোলনের নেতৃত্ব মিহির রায়, বস্তি উন্নয়ন সমিতির রাজ্য নেতৃত্ব বিপুল সান্যাল, কৃষক নেতা সলিল আচার্য সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চল ধ্বংস করা চলছে সমানে। বেপরোয়া সবুজ নিধনে জঙ্গলে খাবার পাচ্ছেনা বন্যপ্রাণীরা। বেড়েছে লোকালয়ে বন্য প্রাণীদের ঢুকে পড়ার ঘটনা। পরিবেশ কর্মীরা বলছেন, অবাধে বেআইনি বালি পাথর তুলতে নদীতেই চলছে ক্রাশার মেসিন। পাথর ভাঙার কাজে চোখ বুঁজে থেকে মদত দিয়ে চলেছে প্রশাসন। সরাসরি প্রভাব পড়ছে বনাঞ্চল সংলগ্ন গরিব সাধারণ মানুষের জীবিকায়।
সারা ভারত কৃষক সভার সদর উত্তর থানা কমিটির পক্ষ শহরের উপকণ্ঠে কালিয়াগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনে ফুল ও ফলের গাছ লাগানো হল। উপস্থিত ছিলেন জেলার প্রবীণ কৃষক সভার নেতা এবং প্রাক্তন সাংসদ জিতেন দাস , কৃষক নেতা আজম আলী আব্বাস, তপন গাঙ্গুল, হীরাবতী বর্মন, সানন্দ সরকার, আফছার আলি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
Comments :0