SHYAMNAGAR WOMAN FACES VIOLENCE

শ্যামনগরে দল বেঁধে নিগ্রহে কাউকে ধরেনি পুলিশ

জেলা

শ্যামনগরে আক্রান্ত মহিলা হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে গার্গী চ্যাটার্জি সহ সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়

চোপড়ার পর শ্যামনগর। ফের বেনজির বর্বরতা। 
গড় শ্যামনগর অন্নপূর্ণা বস্তির ঘটনা। মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়েছে এই এলাকায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল। এই ঘটনার পর বাসুদেবপুর থানায় অভিযুক্তদের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি। এই ঘটনায় অভিযুক্তরা জগদ্দল বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
কাউগাছি এলাকার গড় শ্যামনগরে একেবারে গরিব মানুষের বাস। এই এলাকায় দীনেশ দেবনাথ তাঁর পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন। দীনেশ দেবনাথ পেশায় রাজমিস্ত্রি। এখন খুবই অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। তাঁর পরিবারের সঙ্গে পাশের একটি পরিবারের বিবাদ ছিল জায়গা নিয়ে। 
বুধবার দীনেশ দেবনাথের মেয়ে রাস্তার কলে জল আনতে যান। সেখানে জল নিয়ে পাশের বাড়ির বাসিন্দাদের সাথে বিবাদ হয়। এই ঘটনার পর মহিলাকে মারতে মারতে বিবস্ত্র করে দেওয়া হয়। মহিলার শরীরের জামা ছিঁড়ে যায়। মহিলার মাথায় চপার দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনায় জড়িতরা তৃণমূলের লোকজন। 
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে বারাকপুর বি এন বোস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। মহিলার মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই পরেছে। মাথার আঘাত গুরুতর। 
এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূলের কর্মীর নামে পরিবারের পক্ষ থেকে বাসুদেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। চব্বিশ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও পুলিশ কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি। 
বৃহস্পতিবার আক্রান্ত পরিবারের সাথে দেখা করতে যান সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য গার্গী চ্যাটার্জি, পার্টিনেতা সৌমিত্র নাগ সহ সিপিআই(এম) ও মহিলা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। 
গার্গী চ্যাটার্জি বলেন, ‘‘সভ্য সমাজে এই ধরনের ঘটনা ঘটে না। আমরা কোন রাজ্যে বসবাস করছি! এখানে পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হয়ে গেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে বারাকপুরে গুন্ডারাজ খতম করার ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। এক মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। বারাকপুর জুড়ে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।’’

Comments :0

Login to leave a comment