SFI

শিক্ষার অধিকার রাখতে চলবে লড়াই, রায়নার সমাবেশে এসএফআই

জেলা

পার্থপ্রতিম কোঙার- মাধবডিহি
 

জাতীয় শিক্ষা নীতি, শিক্ষায় গৈরিকীকরণ, ধর্মীয় বিভাজন রুখতে, ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র বজায় রাখতে, দেশের, রাজ্যের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন গণতান্ত্রিক মানুষকে বামপন্থীদের সঙ্গে লড়াই আন্দোলনে পাশে চায় ভারতের ছাত্র ফেডারেশন। ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির কনভেনশন উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রকাশ্য সমাবেশে শুক্রবার পহলানপুরে কথাগুলো বলেন ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের সর্বভারতীয় নেত্রী দীপ্সিতা ধর। 
তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক চাহিদা রুটি,কাপড়া আউর মকানের দাবি থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে চায় কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকার। বামফ্রন্ট সরকারের সার্বজনীন অবৈতনিক শিক্ষা নীতি থেকে সরে এসে শিক্ষায় বেসরকারিকরণ চালু করা হয়েছে। আমাদের রাজ্যে গরিব শ্রমজীবী মানুষের ঘরের ছেলেমেয়েরা বিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে স্কুল ছুট হচ্ছে। বিদ্যালয় বন্ধ হচ্ছে, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার সিট খালি পড়ে থাকছে। অপরদিকে শিক্ষা ক্ষেত্রে লাগামছাড়া দুর্নীতি, মেধাসম্পন্ন ছেলে মেয়েরা রাস্তায় বসে আছেন। তৃণমূল-বিজেপির একই নীতিতেই চলে। তাই কে কখন কোন দলে আছে বোঝা যায় না। দীপ্সিতা বলেন, আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কথায় কথায় বলেন এগিয়ে বাংলা। আমরা বলি বাংলা এখন এগিয়ে দুর্নীতিতে। শিক্ষা, সংস্কৃতিতে বাংলার গরিমা ভূলুণ্ঠিত। মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে সংখ্যালঘুদের রক্ষাকর্তা বলে দাবি করেন। মানুষ জানতে চান সংসদে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের বিল পাশের দিন কেন তৃণমূল সাংসদরা পার্লামেন্টে অনুপস্থিত ছিলেন। কেন আসানসোলে দাঙ্গার মতো পরিস্থিতি তৈরির উস্কানিদাতা একসময়ের বিজেপি পরে তৃণমূল হয়ে আপনার মন্ত্রীসভায় ঠাঁই পেলেন। আসলে বিজেপি আর তৃণমূল একে অপরের পরিপূরক।
সংগঠনের সর্বভারতীয় নেত্রী ঐশী ঘোষ বলেন, মোদী সরকার দেশ বিক্রি করছে। শিক্ষা বিক্রি করছে। হাজার হাজার স্কুল দেশে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কৃষক কেন আত্মহত্যা করছেন? প্রশ্ন করতে হবে সবকা সাথ সবকা বিকাশ বলে ক্ষমতায় আসা নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। তিনি আরও বলেন-৩৪ বছর পশ্চিমবঙ্গে দাঙ্গা হয়নি। বর্তমানে আমাদের রাজ্যেও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তিনি বলেন, সকলের জন্য শিক্ষা, শিক্ষা শেষে চাকরি শুধু এই দাবি নয়, কৃষক শ্রমিক সহ শোষিত বঞ্চিত সব মানুষের লড়াই আন্দোলনের পাশে থাকবে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন।
সংগঠনের জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরী বলেন, লড়াই আন্দোলনের উর্বর মাটি রায়না লড়াকু মানুষ বুক চিতিয়ে লড়াই করে পলাশন গ্রাম পঞ্চায়েতে জনগণের পঞ্চায়েত গঠন করেছে। তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি এবং শিক্ষা সমার্থক হয়ে গেছে আমাদের রাজ্যে। ঐতিহ্যবাহী বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় অনিয়ম, বেনিয়মের দুর্নীতির আঁতুড়ঘর হয়ে গেছে। ভারতের ছাত্র ফেডারেশন সব কলেজে, সব বিশ্ব বিদ্যালয়ে আগামী দিনে লড়াই আন্দোলন জারি রাখবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা এসএফআই সভাপতি প্রবীর ভৌমিক এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন বিশ্বরুপ হাজরা সভায় ছাত্র নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানান অর্ভতনা কমিটির সভাপতি গনতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব মির্জা আক্তার আলি। এসএফআই পূর্ব বর্ধমান জেলা সাংগঠনিক কনভেনসন চলবে শনিবার পর্যন্ত ১৪০ জন ছাত্র প্রতিনিধি উপস্থিত আছেন।

Comments :0

Login to leave a comment