অনিল কুণ্ডু : বারুইপুর
ইনসাফ চাইতে পদযাত্রায় শামিল হলেন জয়নগরের সেই দলুয়াখাকি গ্রামের আক্রান্ত বাসিন্দারা। আক্রান্ত পরিবারের মহিলারা নিজেরাই সন্তান কোলে ছুটে এসেছিলেন বারুইপুরে। তাঁদেরও দাবি ইনসাফ চাই। অপরাধীদের গ্রেপ্তার, শাস্তি চাই।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই গ্রামেই সিপিআই(এম) সমর্থকদের ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতী বাহিনী।
এই মহিলারা জানিয়েছেন, এখনও গ্রামছাড়া রয়েছেন পরিবারের পুরুষরা। বর্বরোচিত ঘটনার প্রায় দেড় মাস। আক্রমণকারী তৃণমূলের বাহিনী গ্রামে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অপরাধীরা গ্রেপ্তার হয়নি। এফআইআর করায় দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।’’
১৩ নভেম্বর দলুয়াখাকি গ্রামে তৃণমূলের সশস্ত্র বাহিনী বেপরোয়া আক্রমণ করে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুট, অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়।
বারুইপুরের পেয়ারাচাষিরা পদযাত্রীদের কাছে তুলে ধরেছেন নিজেদের জীবন যন্ত্রণা ও পুলিশ, তৃণমূলের অত্যাচারের কথা।
ইনসাফ যাত্রাকে কেন্দ্র করে রাস্তায় সাধারণ মানুষের উৎসাহ, ভিড় এদিনও ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিনের পদযাত্রায় ডিওয়াইএফআই’র সাধারণ সম্পাদক হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্য, রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি, কলতান দাশগুপ্ত, পারমিতা ঘোষ চৌধুরী, এসএফআই’র সাধারণ সম্পাদক ময়ুখ বিশ্বাস, রাজ্য সভাপতি প্রতীক উর রহমান, সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ছাত্র, যুব নেতৃত্ব অংশগ্রহণ করেন। মিছিলে গণ আন্দোলনের নেতা সুজন চক্রবর্তী, শমীক লাহিড়ী, রাহুল ঘোষ, রতন বাগচী প্রমুখ।
Comments :0