World Elephant Day 2024

বিশ্ব হাতি দিবস পালিত উত্তরবঙ্গে

রাজ্য

বিশ্ব হাতি দিবস সোমবার। ২০১২ সাল থেকে আজকের এই দিনটিতে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব হাতি দিবস। সোমবার বিশ্ব হাতি দিবস পালিত হল ওদলাবাড়িতে। ওদলাবাড়ি চৌরাস্তার মোড়ে নেচার এন্ড এডভেঞ্চার সোসাইটির ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব হাতি দিবসে হাতি সংরক্ষণের উপর জোরাল বক্তব্য রাখেন নফসার আলি।
বাঘ, সিংহের পর যে প্রাণীটির কথা সবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে তা হলো হাতি। জীবজগতের বৃহত্তম স্থলচর স্তন্যপায়ী প্রাণী এটি। কানাডার ২ চলচ্চিত্র নির্মাতা প্যাট্রিসিয়া সিমস, মাইকেল ক্লার্ক এবং থাইল্যান্ডের রিইন্ট্রোডাকশন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মূলত বিশ্ব হাতি দিবস পালন করা সম্ভব হয়েছে।
বিশ্ব হাতি দিবস হল একটি বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ। হাতিদের সংরক্ষণ করার জন্য ও নিরাপদ রাখার জন্য, হাতিদের সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য পালন করা হয় বিশ্ব হাতি দিবস। হাতির সংখ্যা হ্রাস, তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল হারানো এবং মানব-হাতি সংঘর্ষের মতো গুরুতর চ্যালেঞ্জগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল এই দিনটি পালন করার প্রধান উদ্দেশ্য। ২০১২ সালে প্রথমবার পালন করা হয় এই দিনটি তারপর থেকে প্রতি বছর ১২ আগস্ট পালন করা হয় বিশ্ব হাতি দিবস। এই দিনটিতে হাতি সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো হয়। পাশাপাশি হাতি যেন কোনও অস্তিত্ব সংকটে না পড়ে, সেইদিকেও নজর দেওয়া হয়। অবাধে বনভূমি কেটে ফেলার ফলে জঙ্গল ছেড়ে গ্রামে ঢুকে পড়ে হাতি, নষ্ট হয় একাধিক সম্পদ ঘটে প্রাণ হানির মতো ঘটনাও।
প্রাণী বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, আগামী দিনে হাতি সংরক্ষণ, গ্রামবাসীদের হাতে হাতি নিধন ও চোরাশিকারীর উপদ্রব কমাতে না পারলে স্থলচরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় এ প্রাণীটি ডাইনোসরের মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
এদিন নফসার আলি বলেন, যে কোন উপায়ে মানুষ হাতি সংঘাত রুখতে হবে। পরিবেশের স্বার্থে,জীব বৈচিত্রের ভারসাম্য রক্ষা করতে হাতি সংরক্ষণ খুবই জরুরী। এইদিন নেপাল থেকে বিশ্ব হাতি দিবস উপলক্ষ্যে ২০ জনের মোটর সাইকেল র্যা লী আসামে যাওয়ার সময় ন্যাসের কর্মসুচিতে যোগদান করেন। তাঁদের সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। নেপাল থেকে আসাম অবধি হাতির করিডোর এলাকায় মানুষকে সচেতন করা এই র্যাযলির লক্ষ। বাইক র্যােলির প্রতিনিধিরা এদিন বক্তব্য রাখেন। 
বক্তারা বলেন, মানুষের সব থেকে ভালো বন্ধু হতে পারে হাতি। কারণ হাতির ব্যবহারের সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও খুব তুখোড়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বহু প্রজাতির হাতি, এই সমস্যা থেকে হাতিদের উদ্ধার করার জন্যই প্রতি বছর পালন করা হয় বিশ্ব হাতি দিবস।
উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণী বিভাগের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি’র কথায়, ‘‘ হাতিদের বেশকিছু নিয়ম আছে।  মাতৃতান্ত্রিক সমাজ হস্তিকুলে। সমস্তকিছু পরিচালনা করে দলের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলারাই। তার কথাই সবাইকে মেনে চলতে হবে। যদি কেউ না-শোনে তাহলে তাকে দল থেকে বের করে দেওয়া হয়।’’


বিশ্ব হাতি দিবসে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘এই দিনটি হাতি রক্ষার উদ্দেশ্যে প্রচেষ্টার একটি উপলক্ষ। হাতিরা যাতে একটি নিশ্চিন্ত এবং প্রাকৃতিকভাবে অনুকূল আবাসস্থল পায়, সেই চেষ্টাই অবিরত করা হচ্ছে। হাতি সংরক্ষণ প্রচেষ্টার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে মোদী লিখেছেন, ভারতের সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের সঙ্গে এই প্রাণীটি বিশেষভাবে জড়িত।’’  টুইটে তিনি দাবি করেন, আপনাদের আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, গত কয়েক বছরে হাতিদের অস্তিত্ব সংকট থেকে আমরা বাঁচাতে পেরেছি এবং উল্লেখযোগ্য ভাবে ভারতে হাতির সংখ্যা বেড়েছে।’
 

Comments :0

Login to leave a comment