প্রথমবার পডকাস্টে যোগ দিয়ে গোধরার প্রসঙ্গ টানলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০০২’র ফেব্রুয়ারির গোধরা অগ্নিকাণ্ডের উল্লেখ করে তিনি দাবি করেছেন কঠিন সময়েও নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছিলেন তিনি। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কর্তব্য পালন করেছেন। আবেগ থেকে মুক্ত থাকতে হয়েছিল তাঁকে।
গোধরায় ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের জেরে মৃত্যু হয়েছিল ৫৯ জনের। তার মধ্যে করসেবকরাও ছিলেন। এর পরই গুজরাটে সংগঠিত গণহত্যা চলেছিল। শিকার হয়েচিলেন মুসলিমরা। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন গুজরাট সরকার এবং প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদতের একের পর এক ঘটনা সামনে উঠেও এসেছিল। মোদী এদিন যদিও দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন থেকে কর্তব্য পালনের জন্য যা কিছু করার তিনি করেছিলেন!
ব্যবসায়ী নিখিল কামাথের সঙ্গে কথোপকথনে মোদী বলেছেন যে গোধরার ঘটনার মাত্র তিনদিন আগে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঘটনা শেনার পর, ওএনজিসি’র এক ইঞ্জিনের হেলিকপ্টারে চড়ে ঘটনাস্থলে যান। ভিআইপি বলে এই হেলিকপ্টারে যাওয়া বারণ ছিল ঝুঁকির কারণে। তবু তিনি গিয়েছিলেন।
মোদী বলেছেন, ‘‘গোধরায় পৌঁছে মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে হয়েছিল। সারি সারি মৃতদেহ। অনেক কিছুই মনে হচ্ছিল। কিন্তু জানতাম যে পদে আসীন সেখানে আবেগের ঊর্ধ্বে থাকতে হয়। নিজেকে সামলাতে যা করার সবকিছু করেছিলাম।’’
গুজরাটে গণহত্যা ঘিরে তীব্র সমালোচনার মুখে সে সময় পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রের সরকারে আসীন বিজেপি-কে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী মোদীর উদ্দেশ্যেই ‘রাজধর্ম পালনের’ বার্তা দিয়েছিলেন। তবে উপদেশ না দায় ঠেলা তানিয়েও প্রশ্ন ছিল। কারণ গুজরাটের পরিস্থিতির জন্য বিজেপি কখনও ভুল স্বীকার করেনি। কেন্দ্রে সে সরকার সমর্থন দিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। ছিলেন বাজপেয়ী মন্ত্রীসভায়ও।
২০০২ সালেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন হয়। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি তীব্র সংখ্যালঘু বিদ্বেষের রাজনীতিতে ভর করে বিপুল গরিষ্ঠতা পায়।
মোদী সে প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘ফলাফল নিয়ে শঙ্কা ছিল। বেলা বারোটার আগে কিছু জানাতে বারণ করা ছিল। এগারোটার কিছু পরে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে ড্রাম বাজতে থাকে। তখন আমাকে জানানো হয় দুই তৃতীয়াংশ আসনে এগিয়ে রয়েছি।’’
Modi on Godhra
কর্তব্য পালন করতে নাকি আবেগ সামলেছিলেন! গোধরা টেনে অসত্যভাষণ মোদীর
×
Comments :0