সংবিধানকে বদলাতে চায় বিজেপি। তুলে দিতে চায় সমাজে বঞ্চিত অংশের জন্য সংরক্ষণ। বদলাতে চায় বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধানকে। সারা দেশে ‘ইন্ডিয়া’ এই প্রচারেই সরব। শুক্রবার এই প্রচারেই যোগী আদিত্যনাথের একটি লেখাকে হাতিয়ার করেছে কংগ্রেস। 
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ একটি ভিডিও পেশ করেছেন। তিনি বলছেন, ‘‘ওয়েবসাইট ‘যোগীআদিত্যনাথ ডট ইন’ দেখুন। এখানে উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর চিন্তা, কাজের বিবরণ রয়েছে। আর রয়েছে তাঁর বেশ কয়েকটি লেখাও। তার একটি লেখায় সরাসরি আক্রমণ করছেন সংবিধানে দেওয়া সংরক্ষণের নির্দেশকে।’’
ওই ওয়েবসাইটে ‘আরক্ষণ কে আগ মে সুলগতা দেশ’, বাংলায় যার অর্থ ‘সংরক্ষণের আগুনে জ্বলছে দেশ’। রমেশ এই লেখারই বিভিন্ন অংশ পড়ে শুনিয়েছেন।
রনেশ বলছেন, ‘‘এই লেখার বক্তব্য সংবিধানের ওপর, বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধানের ওপর সরাসরি আক্রমণ। ‘নিকম্মা বানানেওয়ালা আরক্ষণ’ বা ‘অকর্মা তৈরি করছে সংরক্ষণ’, ‘বিভাজনকারী রাজনীতি কা আরক্ষণ’ বা ‘বিভাজনের রাজনীতি করার সংরক্ষণ’, ‘আরক্ষণ কা ভয়াবহ দৃশ্য’ বা ‘সংরক্ষণের ভয়াবহ দৃশ্য’- এমন সব কথা রয়েছে লেখায়।’’ 
রমেশের সংযোজন, ‘‘এই দর্শন আসলে আরএসএস’র, এই দর্শন আসলে প্রধানমন্ত্রীর। এরা বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধানকে হটাতে চায়। ‘চারশো পার চারশো পার স্লোগান তুলে আসল উদ্দেশ্য সংবিধানকে বদলানো।’’ তিনি বলছেন, ‘‘৩০ নভেম্বর, ১৯৪৯ সালে আরএসএস’র পত্রিকা ‘অর্গানাইজার’-এ লেখা হয়েছিল আম্বেদকরের সংবিধানে মনুবাদী আদর্শ নেই। আজ ২০২৪ সালে এই সংবিধানকে সুরক্ষিত রাখতে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ ভোট লড়ছে।’’ 
উত্তর প্রদেশে পঞ্চম দফায় ১৪ লোকসভা আসনে ভোট নেওয়া হবে। তার আগেই জোরালো আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। এই পর্বে রাজ্যের একাধিক আসন রয়েছে সারা দেশের নজরে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রার্থী রায়বেরিলিতে। আর আমেথিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী দলের দীর্ঘদিনের সৈনিক কেএল শর্মা। বস্তুত কংগ্রেসের প্রয়াত নেতা রাজীব গান্ধীর সময় থেকে এই কেন্দ্রে ভোট পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন শর্মা। তাঁর প্রচারে পড়ে রয়েছেন কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। 
লক্ষ্ণৌয়ে প্রার্থী দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। নজরে রয়েছে কয়সরগঞ্জ আসনও। এই কেন্দ্রেরই সাংসদ বিজেপি’র ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের পুত্র করণভূষণ। জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছিলেন পদকজয়ী কুস্তিগিররা। তাঁর শাস্তি হয়নি। ব্রিজভূষণকে সরাসরি প্রার্থী না করা হলেও তাঁর ছেলেকে প্রার্থী করায় ক্ষোভ রয়েছে সারা দেশেই।  
রমেশ বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলছেন যে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চকে যোগী আদিত্যনাথের থেকে শিখতে হবে কোথায় কখন বুলডোজার চালাতে হয়। প্রধানমন্ত্রী দেখুন, ‘‘যোগীর বুলডোজার আসলে চলছে দলিত, আদিবাসী এবং পিছড়ে বর্গের সংরক্ষণকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে।’’
                                        
                                    
                                
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
Comments :0