গতকাল মৃত্যু হয়েছে স্ত্রী ও ছেলের। শনিবার সকালে বর্ধমানের হাসপাতালে মৃত্যু হল বোলপুরে অগ্নিদগ্ধ আব্দুল আলিমের। গত বৃহস্পতিবার রাতে বীরভূমের রজতপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আলিম স্ত্রী-সন্তান সহ ঘরেই ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হন ৷ তাঁর স্ত্রী ও ছেলে দুর্ঘটনা পরপরই মারা গিয়েছে ৷ শনিবার সকালে বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল আলিমের। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে।
বৃহস্পতিবার রাতে আব্দুল আলিম (৪৫), তার স্ত্রী রূপা বিবি (৩৭) ও ছোট ছেলে আয়ান শুখ (৪) শুয়েছিলেন একসঙ্গে। পাশের ঘরে ছিলেন দম্পতির বড় ছেলে ওয়াসিম আখতার। রাত দেড়টা নাগাদ আর্তনাদে ঘুম ভাঙে তাঁর। ঘুম ভেঙে দেখেন তাঁর বাবা-মা ও ভাই তখন কাতরাচ্ছেন। বড় ছেলে ওয়াসিম আখতারের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। আগুনে ঝলসে যাওয়া দেহগুলি উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আলিমকে পরে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করে বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। এদিন সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।
পরিবারের সদস্যদের কথায়, ‘‘রাস্তার ধারের ঘরেই একটি জানালা খোলা রেখে শুয়েছিলেন তাঁরা। জানালা দিয়ে পেট্রো-কেরোসিন মিশ্রিত কাপড়ের টুকরো লাঠির ডগায় বেঁধে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেরোসিন-পেট্রোল ঢেলে লাঠির ডগায় বাঁধা কাপড় দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এদিন এই পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এলো। জানাগেছে মৃতের ভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার চন্দন সেখের। আর তাতে বাঁধা দেওয়াতেই এই খুন, দাবি পুলিশের। ইতিমধ্যেই, অভিযুক্ত ভায়ের বউকে আটক করেছে পুলিশ।
Burnt to death
বীরভূমে অগ্নিদগ্ধ আব্দুল আলিমের মৃত্যু, আটক ভায়ের বউ
×
Comments :0