রাতের অন্ধকারে লোকালয়ে ভালুকের আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে এলাকাবাসীর। শুক্রবার সকালে একটি ভালুক দেখা যায় মেটেলী ব্লকের মেটেলী চা বাগানের ডিভিসন মুর্তি চাবাগানে। শ্রমিকরা সকালে কাজে গিয়ে বাস লাইনে ভালুকটিকে দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চা বাগানে। ভালুক দেখতে ভিড় জমে যায়। খবর যায় বন্যপ্রাণী বিভাগের খুনিয়া রেঞ্জে। বনদপ্তর থেকে বন কর্মীরা আসার আগে ভালুকটি দ্রুত চলে আসে বাগানের চার নম্বর সেকশনে। ইতিমধ্যে খুনিয়া রেঞ্জ আধিকারিক ও কর্মীরা চলে আসেন জায়গাটা ঘিরে খুজতে থাকেন ভালুকটিকে।
বনদপ্তর সূত্রে খবর, শিকারের খোঁজেই লোকালয়ে ঢুকে পড়ে ওই ভালুকটি। তবে ভালুকে আতঙ্ক ওই এলাকায় নতুন নয়। ডুয়ার্সে মেটেলী নাগ্রাকাটা ও বক্সার জঙ্গল এলাকা থেকে বেড়িয়ে আসা ভালুক মাঝে মাঝেই দেখা যায়। মেটেলী চা বাগান এলাকায় ২০২০ সালে ভালুকের আগমনে তোলপাড় হয়েছিল। মানুষের তাড়া খেয়ে ভালুক জঙ্গলে লুকিয়ে পড়লে এক কিশোর ভালুকটির কাছে গিয়ে সেল্ফি তুলতে যায়। ভালুক তাকে তুলে নিয়ে খাবলা খাবলা করে মারে। সেই আতঙ্ক এবার আরো গেড়ে বসল। আতঙ্কে কাজ ব্যহত চা বাগানটিতে। চা বাগানের শ্রমিক কিসুন মহালী বলেন, শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ তাঁর বাড়ির পাশে ভালুক জাতীয় বন্যপ্রাণীকে দেখেছেন।
বনাধিকারিকের কথায়, ভালুক সাধারণত সমতলে আসে না। আমিষ ও নিরামিষ খাবারে অভ্যস্ত। সাধারণত ভালুকের বাসস্থান সীমিত হলে খাদ্যের অভাব থাকলে ওরা সমতলে আসে। আবার সমতলে মানুষের অবস্থান কম হলে ওরা সেই জায়গায় চলে আসে। তাঁর কথায় ভালুক জলে ভেসে চলে আসতে পারে। আবার অত্যন্ত শীত পড়লে নীচে আসে। একবার সেভক এলাকায় একটি মা ভালুককে দেখা গেছিল তার শাবককে সাথে নিয়ে যেতে। খুব সম্ভব শাবকটি দল ছাড়া হয়েছিল। মা শাবকটিকে খুজে সাথে নিয়ে যাচ্ছিল।
খুনিয়া বন্য প্রাণী বিভাগের রেঞ্জার বলেন, খবর পেয়ে তারা এলাকায় তল্লাশি করেছেন তবে ভালুক দেখতে পাওয়া যায়নি। তবে তারা এলাকা পর্যবেক্ষনে রেখেছেন।
Fear of Bear
ভালুকের আতঙ্ক ডুয়ার্সের চা বাগানে

×
Comments :0